ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম (আইটিএস)। সড়কে সংকেত ব্যবস্থায় নতুন এই পদ্ধতি চালু করতে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এতে বদলে যাবে এই সিগন্যালগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থা। এ তথ্য জানিয়েছেন ডিটিসিএর অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন মজুমদার।
ডিটিসিএ সূত্রে জানা গেছে, মহাখালী, গুলশান-১, ফুলবাড়িয়া ও পল্টন মোড়ে এটি স্থাপন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৩ নভেম্বরে। শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩০ মে। এ প্রকল্প সফল হলে আরও মোড়ে তা চালু করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুলবাড়িয়া, পল্টন, মহাখালী ও গুলশান-১ মোড়ে আইটিএস স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। সড়কে আলাদা লেন নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে সড়ক বিভাজকও।
গুলশান-১ নম্বর সিগন্যালে অপেক্ষমাণ প্রাইভেটকার চালক ইমদাদুল হকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, শুনেছি এই মোড়ে ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থার কাজ চলছে। আগে এই সিগন্যালের যানজটে গাড়ির লাইন গুদারাঘাট পেরিয়ে বাড্ডা লিংক রোডের আগে বৈশাখী সরণি পর্যন্ত চলে যেত। যদি এই সিস্টেম চালু হলে মনে হয় এমন যানজট থাকবে না।
যে সুবিধা মিলবে
ডিটিসিএর তথ্য অনুযায়ী, ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেমে সিসি ক্যামেরা বা রাস্তায় বসানো গাড়ি শনাক্তকরণ যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়ির সংখ্যা হিসাব করা যাবে। যে লেনে চাপ বেশি থাকে সেদিকের গাড়িগুলোর জন্য জ্বলে ওঠবে সবুজ বাতি। কোনো গাড়ি ট্রাফিক আইন অমান্য করলে সেটি শনাক্ত করা যাবে। এ ছাড়া পথচারীদের সংখ্যা হিসাব করে সে অনুযায়ী পথচারী পারাপারের সংকেত দেবে আইটিএস। আর এর সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে। আইটিএস পদ্ধতির সিসি ক্যামেরাগুলো ৩০০ মিটার এলাকার যানবাহনের হিসাব রাখতে সক্ষম।