দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি সংস্থা স্পেসএক্স। বাংলাদেশের এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। তার আগে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেছে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন এই সংস্থা।
একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩০ মিনিট আগে মহাকাশের নিজস্ব স্লটের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণের করা হবে বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে যাত্রা শুরু করছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে।
ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড-৩৯ এ থেকে বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৩৭ মিনিটে কক্ষপথে রওনা হবে বঙ্গবন্ধু-১। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কেপ ক্যানাভেরালের লঞ্চ প্যাডে পৌঁছেছেন।
ওই প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে স্পেসএক্সের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ উৎফুল্ল যে বঙ্গবন্ধু-১ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করতে যাচ্ছে। সবকিছুই সুন্দরভাবে এগিয়ে চলছে।’
এসময় তিনি কীভাবে মহাকাশের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করবে সেবিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এর আগে গত ৪মে বঙ্গবন্ধু-১ এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালায় স্পেসএক্স। ওইদিন অরল্যান্ডোর কেনেডি স্পেস সেন্টারে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালানো হয়।
বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কিনে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ার কাছে থেকে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমায় ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারে ( বাংলাদেশি প্রায় ২১৯ কোটি টাকায) কেনা হয় এ স্লট। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উড়বে এখানেই।