প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেছেন অদম্য তামান্না আক্তার নূরা।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে তামান্না আক্তার নূরার বাসা থেকে আবেদনপত্রটি নেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. নাজিব হাসান । এরপর যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আবেদনপত্রটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে
পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তামান্না নূরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন তিনি সবসময় আমার পাশে আছেন। তার পরামর্শে আমি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টে আবেদন করেছি। আমার স্বপ্নপূরণে পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো।
এদিকে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে তামান্নাকে অভিনন্দন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ওইদিন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাও ফোন করে তামান্নাকে অভিনন্দন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তামান্নাকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, তামান্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা। আশা করি তামান্নার স্বপ্ন পূরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না নূরা। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। রোববার প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।
এর আগে তামান্না ২০১৯ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পান। একই ফল করেছিলেন পিইসি ও জেএসসিতেও। বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার (ননএমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।