“বঙ্গবন্ধুর জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি বিশ্ব ও আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় তাঁর অসংখ্য অবদানের একটি উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি”-রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান

:
: ৩ years ago

সালমান রহমান,কূটনৈতিক প্রতিবেদক:: জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও-কুরি” শান্তি পদকে ভূষিত করার ৪৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক বিশেষতঃ বিশ্ব ও আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় তাঁর অবদান নিয়ে আলোকপাত করা হয়।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের শহিদ ও নির্যাতিতা ২ লক্ষ মা ও বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন বিশ্ব শান্তি ও মানবতার কল্যানে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের বৈশ্বিক স্বীকৃতি বাংলাদেশ ও বাঙ্গালির অহংকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু দক্ষিন এশিয়ায় শান্তির বীজ বপন করেছেন। আজকের বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ভাবমূর্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করেই পরিচালিত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও বৈশ্বিক ভাবে বাংলাদেশের শান্তির স্বপক্ষে অবস্থানকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ঊষালগ্নেই নিশ্চিত করেছিলেন তাঁর “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়” নীতির মাধ্যমে। ১৯৭৩ সালের এই দিনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায় অনুষ্ঠিত ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক অনুষ্ঠানে বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “আজ থেকে শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ব বন্ধুও বটে”।  প্রকৃত অর্থেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব বন্ধু।  বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় শান্তি রক্ষী বাহিনী প্রেরন সহ বিশ্বের যেকোনো শান্তি প্রচেষ্টার অন্যতম সহযোগী। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক যেকোনো শান্তি প্রচেষ্টার বাংলাদেশ একনিষ্ঠ অংশীদার। যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করেই  বিকশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি তাঁর অসংখ্য অবদানের একটি উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন ও আত্মত্যাগের কারনেই বিশ্বের মানুষের কাছে চির শান্তির দূত হিসেবে ভাস্বর হয়ে থাকবেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আজকের যে বাংলাদেশ নিয়ে আমরা বহির্বিশ্বে গর্ববোধ করি তার গোড়াপত্তন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দক্ষিন এশিয়ার ছোট একটি দেশ হয়েও বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে তার নিজস্ব স্বতন্ত্র অবস্থান তুলে ধরতে পেড়েছে শুধু মাত্র তার নিরপেক্ষ উদারনৈতিক শান্তিপূর্ণ ভাবমূর্তির কারনে, যা বঙ্গবন্ধুর শান্তির স্বপক্ষের ভাবনাকে ধারন করেই রচিত হয়েছিল। তারা আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর মত মহানায়কের নেতৃত্বের কারনেই বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পেরেছিল এবং তাঁর স্বপ্নেরই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই আজকের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়। প্রবাসী বাংলাদেশীরাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮ বছর পূর্তিতে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি বিষয়ক একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।