ফ্রি ওয়াইফাই : হ্যাকারদের রাজত্ব!

:
: ৭ years ago

বিনা পয়সায় ওয়াই-ফাই পেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তো? প্রাণ খুলে ব্যবহার করতে শুরু করেন সেই ওয়াই-ফাই। ! ভেবেও দেখেন না, কী বিপদ হতে পারে এ ধরনের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে।

ফ্রি ওয়াই ফাই বা হটস্পট হল হ্যাকারদের রাজত্ব। ওয়াই ফাই জোন অর্থাৎ যেখানে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে নেটওয়ার্ক অনেক বেশি শেয়ার হতে থাকে। এর জেরে বেশ কয়েকটি চ্যানেল তৈরি হয়ে থাকে। পাবলিক ওয়াই ফাই ব্যবহার করলে আপনার সব তথ্য দেখতে পারে তৃতীয় ব্যক্তি। ফলে আপনার তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। জেনে নিন—

১. ফ্রি ওয়াই-ফাই সাধারণত নিরাপদ হয় না। হ্যাকাররা চাইলে এ নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের সময় আপনার তথ্য চুরি করে নিতে পারে। ধরুন, কোনো পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার সময় একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে, এমন কোনো ব্যবহারকারীর কাছে তথ্য চলে যেতে পারে।

২. ফোনের অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেটেড রাখুন। আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম শুধু আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা আইফোনের নতুন ফিচারের জন্যই নয়। এটিতে স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরি হওয়া ঠেকাতে বিশেষ সিকিউরিটি দেওয়া থাকে। যখনই ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট আসবে, তা ইনস্টল করুন।

৩. যাদের প্রায় সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, তাদের স্মার্টফোনে সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ইউজারদের ম্যালওয়্যারে আক্রান্তের আশঙ্কা থাকে।

৪. ওপেন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ঢোকার পর যদি স্পিড খুব স্লো হয় তবে সেখানে সমস্যা থাকতে পারে। অনেক সময় সাইন-ইন পেজে গিয়ে স্লো ওয়াই-ফাই কানেকশনের জন্য লগ ইন আটকে যেতে পারে। অনেক সময় রাউটারে সরাসরি সংযোগের পরিবর্তে অন্য কোনো ডিভাইস ঘুরে রাউটারে যাওয়ার ঘটনা হতে পারে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে বিভিন্ন সাইবার অপরাধীদের সুযোগ তৈরি হয়।

৫. ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ে অনলাইন শপিং বা ব্যাংকিং করবেন না। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা কিংবা ব্যাংকিং লেনদেন নিরাপদ নয়। মোবাইল ইন্টারনেট এক্ষেত্রে নিরাপদ। তাই ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকা জরুরি।