কানিছ সুলতানা কেয়া
নারীরা শুধু ঘরের কাজই করেন না। একবিংশ শতাব্দীতে পুরুষের সঙ্গে সমান তালে সব সেক্টরেই রয়েছে নারীর পদচারণা। চিকিৎসক, শিক্ষক থেকে শুরু করে পাইলট উদ্যোক্তা সব কিছুতেই নারীরা অবদান রেখে চলেছেন। এমনকি আইটি সেক্টরেও পিছিয়ে নেই নারীরা।
তেমনই এক সফল নারী উদ্যোক্তা সানিয়া আফরিন। টাঙ্গাইলের মেয়ে ও বউ তিনি। বাবার চাকরির সুবাদে শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে নরসিংদী জেলায়। নরসিংদী সায়েন্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকায় উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করেন।
এরপর কি করবেন তাই ভাবছিলেন। চাকরি করবেন নাকি অন্য কিছু। এভাবেই কেটে যায় বেশ কিছুদিন। আইটি নিয়ে কিছু করার কথা ভাবছিলেন তিনি। তবে কীভাবে কি করবেন সে ব্যাপারে কোনো ধারণাই ছিল না। এক পর্যায়ে ডি এস বি গ্রুপে জয়েন হন। সেইখানে থেকে অনেক টেকনিক পেয়ে যান।
ডি এসবি হচ্ছে বাংলাদেশের সেরা একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিনা খরচে বেসিক ডেভেলপমেন্টসহ নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার গ্রুপ। নানান তথ্য জানা যায়। ই-কমার্স সেক্টরে ইংরেজিতে দক্ষতা ১০ মিনিট রাইটিং সব কিছুই এক স্টুডেন্টদের জন্য এক অনবদ্য সৃষ্টি এটি।
সানিয়া বলেন, আমার অনুপ্রেরণা শ্রদ্ধেয় রাজীব আহমেদ স্যার। স্যার এর প্রত্যেকটা কথা যেন আমার এক এক টা কাজের পয়েন্ট। তার কাছ থেকেই শিখেছেন এই সেক্টরে কাজ করার খুঁটিনাটি।
সানিয়া আইটি নিয়ে রিসার্চ করছেন প্রায় ৩ বছর। এই ৩ বছরে শুধু কাজেই সময় দিয়েছেন তিনি। অন্য কোনো ভাবনা মাথায় আনেন নি। কাজ আমার ধ্যান জ্ঞান। শূন্য নলেজ নিয়ে আসা সানিয়া আজ অনেক কিছু শিখেছেন এবং অন্যদেরও শেখাচ্ছেন।
তিনি আইটি তে প্রথম কাজ শুরু করেন গ্রাফিক্স নিয়ে। এরপর ওয়েবসাইট ,ডোমেইন হোস্টিং, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, নেটওয়ার্কিং, ব্লগ। ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গেও কাজ করছেন নিয়মিত। তার পুঁজি ছিল শূন্য। তবে এখন ইনকাম প্রায় লাখের কাছাকাছি। সানিয়ার সঙ্গে এখন কাজ করছেন আরও সাত জন। তারা সবাই মাসিক বেতনে কাজ করেন সানিয়ার সঙ্গে।
তিনি বলেন, একজন নারী উদ্যোক্তা চাইলে মাসে ৪-৫ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আইটি ছাড়াও অনেক সেক্টর আছে কাজ করার। তবে যদি সে নিজের মনোবল কে দৃঢ় রেখে কাজ শিখে ও প্র্যাক্টিকালি কাজ করে যায় তবেই মিলবে সাফল্য।
ধৈর্য ধরতে হবে ও ক্লায়েন্টের এর চাহিদা বুঝতে হবে। ক্লায়েন্টরা অনেক কাজেই হয়তো বার বার বলতে পারে বা বিরক্ত করতে পারে কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
আর নিজেকে আড়াল করে রাখলে চলবে নাহ। স্পষ্ট ভাবে লিড দিতে জানতে হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আইটিতে।