লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে হারিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারায় আলবিসেলেস্তেরা। ৩৬ বছর ট্রফি জিতলো আর্জেন্টিনা। ১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ৩-৩ গোলে।
টাইব্রেকারে গড়ালো আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল
পেনাল্টি শুটআউটে গড়ালো আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতা হলে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে আবার সমতা হয় ৩-৩ গোলে। আর্জেন্টিনার হয়ে জোড়া গোল করেন মেসি, বাকি গোল করেন ডি মারিয়া। ফ্রান্সের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন এমবাপ্পে।
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে ফ্রান্সের সমতা
ডি বক্সে এমবাপ্পের শট মন্টিয়েলের হাতে লাগলে পেনাল্টি দেন রেফারি। ১১৬ মিনিটে এমবাপ্পের ফিনিশিংয়ে আবার সমতা আনে ফ্রান্স। হ্যাটট্রিক করেন এমবাপ্পে। ৩-৩ গোলে সমতা।
১০৮ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
১০৮ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের স্কোর ৩-২।
এমবাপ্পের জোড়া গোলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো ফাইনাল
অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো ফাইনাল। ৭৯ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ২ মিনিটের চমকে ম্যাচে সমতা আনে ফ্রান্স। ২টি গোলই করেন এমবাপ্প। এর আগে মেসি ও ডি মারিয়ার গোলে আর্জেন্টিনা ২ গোলের লিড নেয়। কিন্তু ২ মিনিটে সব বদলে যায়।
২ মিনিটে এমবাপ্পের ২ গোল
২ মিনিটের দুই গোলে সমতা আনলো ফ্রান্স। ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দেন এমবাপ্পে, ৮১ মিনিটে আবার তিনিই গোল দিয়ে সমতা আনেন। বাঁ দিক থেকে এমবাপ্পে বল দেন থুরামকে। থুরাম আবার ফেরত দেন এমবাপ্পেকে। অসাধারন ভলিতে বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। সমতা করে ফ্রান্স। ৯৭ সেকেন্ডে সমতা আনে ফ্রান্স।
পেনাল্টি থেকে এমবাপ্পের গোল
৭৯ মিনিটে ডি বক্সে ফাউল করে আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। এমবাপ্পের গোলে ৮০ মিনিটে সমতা আনে ফ্রান্স।
প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে প্রথমে গোল দেন মেসি, এরপর ডি মারিয়ার গোলে ব্যবধান বাড়ায় আলবিসেলেস্তেরা। প্রথমার্ধে একটি আক্রমণও করতে পারেনি ফ্রান্স। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ৫টি শট নিয়েছে, তার মধ্যে ২টি ছিল অনটার্গেট, দুটিই গোল। বল দখলের লড়াইয়েও এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। তাদের পায়ে বল ছিল ৬২ শতাংশ সময়।
ডি মারিয়ার গোলে ব্যবধান বাড়ালো আর্জেন্টিনা
৩৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ালো আর্জেন্টিনা। এবার গোল দেন ডি মারিয়া। উপামেকানো বল হারালে সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ফাঁকা মাঠে বল পেয়ে মেসি বাড়িয়ে দেন ম্যাক অ্যালিস্টারের দিকে। ম্যাক বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়া। জালে বল জড়াতে ভুল করতে পারেননি ডি মারিয়া। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
পেনাল্টি থেকে মেসির গোল
২৩ মিনিটে বাঁ দিক থেকে ডি মারিয়াকে বল দেন আলভারেজ। দারুণ ড্রিবলে ডি মারিয়া ঢুকে যান ডি বক্সে। ডেম্বেলে ফাউল করলে ডি মারিয়া পড়ে যান। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। মেসির গোলে এগিয়ে যায় স্বপ্নের ফাইনালে।
ফাইনালের মহারণে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স
এই নিয়ে ষষ্ঠবার ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা। আলবিসিলেস্তেদের থেকে বেশি ৮বার ফাইনাল খেলেছে একমাত্র জার্মানি। তবে ফাইনালে হারের রেকর্ডে যৌথভাবে জার্মানির সঙ্গে প্রথমস্থানে আছে আর্জেন্টিনা। দুই দলই ফাইনালে হেরেছে ৪ বার করে।
চতুর্থবারের ফাইনালে ফরাসিদের চোখ তৃতীয় ট্রফিতে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত ৭টি বিশ্বকাপের ৪টিতেই ফাইনাল খেলছে লা ব্লুরা। ইতালি ও ব্রাজিলের পর ব্যাক টু ব্যাক ট্রফি জয়ের সুযোগ ফ্রান্সের সামনে। এর আগে ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি, ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল টানা দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছিল।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩ বার দেখা হয়েছে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের। তার মধ্যে গত বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। আর বাকি দুটিতে হেরেছিল ফ্রান্স। এর আগে মুখোমুখি দেখা হয়েছে ১২ বার। তাতে জয়ের পাল্লা ভারি আর্জেন্টিনার। ফ্রান্স জিতেছে মাত্র ৩টিতে, আর্জেন্টিনা ৬টিতে আর বাকি ৩টি ম্যাচ ড্র।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর সাথে ফ্রান্স ১০ ম্যাচ ধরে অপরাজিত। সবশেষ হেরেছিল ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-১ গোলে।
এই নিয়ে ল্যাটিন আমেরিকা-ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যকার ১১তম ফাইনাল হতে যাচ্ছে। আগের ১০ বারের মধ্যে ৭ বারই জিতেছে ল্যাটিন আমেরিকা।