খলিফা মাইনুল : পৃথিবীর প্রায় সকল রাষ্ট্র করোনা ভাইরাসের কারণে আজ লকডাউন বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয় । সারাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে । যে সকল কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছেন প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শমত সেই সকল কর্মহীন লোকদের পাশে দাড়াচ্ছেন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকতারা । তেমনি ঝালকাঠিতেও ঘরে খাবার না থাকায় ফোন করলেন প্রশাসনের কাছে । করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবকিছু যখন বন্ধ, তখন নিরুপায় হয়ে মুঠোফোনে তাদের সমস্যার কথা বলে ২ ব্যক্তি ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে ফোন করেন । কিছুক্ষণ পর ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান তাঁদের পরিবারে ১০ দিনের জন্য খাবার পৌঁছে দেন বলে জানা গেছে । গতকাল সোমবার (১৩ এপ্রিল) ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে , ঝালকঠি সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি এলাকার অসহায় দু’টি পরিবার থেকে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসানকে ফোন দেওয়া হয়। ফোন পেয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে ঐ পরিবারের জন্য মুহূর্তেই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন পুলিশ কর্মকতারা । এতো অল্প সময়ের মধ্যে খাবার পেয়ে পুলিশের এমন মানবিক আচরণে ঐ পরিবারগুলো রীতিমত অবাক ও খুশী হয়েছে । এ সাহায্য পেয়ে পরিবারের এ সদস্য বলেন , বর্তমান করোনা ভাইরাসের এই মহামারির সময় পুলিশ যেভাবে জনগনের পাশে থেকে দিন রাত কাজ করে আসছে এবং আজকে মূহুর্তের মধ্যেই আমাদের বাসায় এ ত্রান সামগ্রী পৌছে দিয়েছে তার জন্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান সহ পুলিশের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ।
এ নিয়ে অ্যাডিশনাল এসপি মাহমুদ হাসান বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় ও অনুপ্রেরণায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে অসহায় পরিবারের জন্য এমন মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি অনেক পরিবারকেই। খেটে খাওয়া পরিবারগুলো এ সময়টাতে খুব কষ্টে আছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তাঁদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। সাধ্যমতো তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’ এছাড়াও তিনি বলেন “দেশের বিভিন্ন জেলায় এমনকি অবস্থানরত ঝালকাঠিবাসী এমনকি প্রবাসীরাও দেশের এমন সংকট মুহূর্তে পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর জন্য জানিয়েছেন। এমন প্রত্যেক পরিবারেই খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে”।