ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিএম কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা দিলেন ছাত্রলীগ নেতা

:
: ৫ years ago

মাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।

বৃহস্পতিবার বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল হাসান সৈকত তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে এই স্ট্যাটাস দেন। তিনি ওই স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘ছাত্ররাজনীতি শূন্য বিএম কলেজের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য বাধ্য হয়ে সাধারন শিার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বাকসু আন্দোলনের ডাক দিতে হলো….. শনিবার থেকে বিএম কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবিতে কলেজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য শিা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা

 

হলো….কলেজসমূহ সকল সংগঠনের আন্তরিক সহযোগিতা কাম্য…..’ তবে এই অংশটুকুর পূর্বে তিনি কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার কথাও উল্লেখ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল হাসান সৈকতকে কল করা হলে তিনি জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবীতে জোড় আন্দোলন শনিবার থেকে শুরু হবে। সেই লক্ষে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেছি আমরা। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হয় কলেজটির অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদারের সাথে। তিনি হাসির সুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমারই তো এখতিয়ার নেই কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করার। ওই ছাত্রলীগ নেতা কিভাবে এই ঘোষনা দেয় সেটা বুঝতে পারছি না। এটা সম্পূর্ন কান্ডজ্ঞানহীণ কাজ।’

বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, কোনো ছাত্রনেতারই ক্ষমতা বা অধিকার নেই শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করার। এই ঘোষনা যদি কেউ দিয়ে থাকে তাহলে সেটা অযৌক্তিক। সেটা যদি করতে হয় তাহলে এর জন্য কলেজ প্রশাসন আছে, সর্বপরি সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা অসম্ভব। বিএম কলেজ ছাত্রলীগ এবং ছাত্র কর্মপরিষদের কয়েকজন নেতা জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবীতে যদি আন্দোলন করতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনার প্রয়োজন হয় না। আর যদি তা দরকার হয় তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে একটি প্লাটফর্ম তৈরী করতে হবে।

সেখানে শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে কাস পরীক্ষা বর্জণ করতে পারে। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা বড় বিষয়। এই ধরণের ঘোষনার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছেন না সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এই বিষয়ে বরিশালের প্রবীণ সাংবাদিক ও গবেষক আনিসুর রহমান খান স্বপন বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলন করা যেতে পারে। সেখানে বিভিন্ন পয়েন্ট থাকতে পারে।

কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করার কোনো প্রশ্নই এখানে নেই। এটা শুধু গভমেন্ট পারবে। এই ধরণের ঘোষনা ভিত্তিহীণ।