ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী পরিচয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন মেহমুদ হাসান রিয়াদ। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মোবাইল, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হতো তাদের। এসময় কৌশলে আপত্তিকর ছবি, অডিও-ভিডিও ধারণ করে রাখেন রিয়াদ। পরে এসব ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শুরু হয় প্রতারণা। তরুণীর কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন তিনি।
তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মেহমুদ হাসান রিয়াদকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। এসময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল জব্দ করা হয় এভং ভুয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৬ মার্চ) রাতে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মেহমুদ নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন। তারপর কৌশলে আপত্তিকর ছবি, অডিও ও ভিডিও রেকর্ড করে রাখতেন। এসব ছবি, অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করতেন তিনি।’
এডিসি মো. নাজমুল হক বলেন, প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২ মার্চ ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে তকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতারণা এড়াতে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরামর্শ-
>> ভার্চুয়াল জগতে কাউকে না জেনে সম্পর্ক তৈরি না করা
>> আপত্তিকর অবস্থায় ভিডিওকলে কথা না বলা
>> অডিওকলে আপত্তিকর কথা-বার্তা এড়িয়ে চলা
>> ব্যক্তিগত কোনো তথ্য, ছবি, ভিডিও শেয়ার না করা
>> কাউকে দেখানো যাবে না এমন কোনো ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও ধারণ না করা
>> অনেকেই মনে করে, ছবি/ভিডিও ডিলিট করে দিলেই শেষ। কিন্তু ডিভাইস থেকে অনেক উপায়ে ডিলিট করা কন্টেন্ট পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব
>> কোনো অবস্থাতেই নিজের বা পরিবারের কারও আপত্তিকর কোনো কিছু ক্যামেরায় ধারণ না করা