সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়ায় অপমানে জান্নাতুল ফেরদৌসী বর্ষা (১৯) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নড়াইলের লোহাগড়ার মাইগ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বর্ষা ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ও খুলনা বয়রা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাশ করেছেন। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামের শহিদুল থান্দারের ছেলে তাশরিফ থান্দারের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কে তারা খালাতো ভাই-বোন।
এক সময় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তাশরিফ গোপনে বর্ষার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময়ের কিছু ছবি মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। এরপর প্রায়ই বর্ষাকে সেসব ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অনৈতিক মেলামেশার প্রস্তাব দিতেন তাশরিফ। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় তাশরিফ আপত্তিকর কয়েকটি ছবি মেয়েটির বান্ধবী কুলসুমের মোবাইলে পাঠান। এরপর ওই ছবি বর্ষার ভাই দাউদ শেখকে পাঠান কুলসুম।
বিষয়টি জেনে বর্ষার মা মেয়েকে বকা দেন। তাশরিফের মা বর্ষাদের বাড়িতে এসে তাকেসহ পরিবারের লোকজনকে শাসিয়ে যান। এরপর তাশরিফ আপত্তিকর কিছু ছবি কলেজছাত্রীর আত্মীয়স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। মুহূর্তেই ছবিগুলো নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জেনে অপমান ও ক্ষোভে ওই ছাত্রী শুক্রবার সকালে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মত্যা করেন।
এ প্রসঙ্গে লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।