রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ফেনী শহরের অদূরে মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকায় গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই হামলা চলে।
খালেদা জিয়ার গাড়ি হামলা এড়াতে সক্ষম হলেও বহরে থাকা গণমাধ্যমের গাড়িসহ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে সাংবাদিকসহ বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের স্রোত ডিঙিয়ে সামনে এগোতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়ির ধীর গতিতে চলার কারণে ফেনীতে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ছয় ঘণ্টা। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর রওনা হয় চট্টগ্রামের পথে। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বহরের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছেন। হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাত্ক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির দাবি, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রহমান, সহসভাপতি নাজমুল, সহসাধারণ সম্পাদক তুষার, বিল্লালসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে ফেনী শহরসহ খালেদা জিয়ার যাত্রাপথের বিভিন্ন স্থানে আরও বাধার খবর পাওয়া গেছে। কুমিল্লায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর গাড়িবহরে হামলা হয়। ফেনীতে হামলার পর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে খালেদা জিয়া ফেনী সার্কিট হাউস থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর ফেনী শহরের চার কিলোমিটার আগে মোহাম্মদ আলীবাজারে একদল যুবক হামলা চালায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গণমাধ্যমের আটটি গাড়িসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক গাড়ি। বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি, একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই ও বৈশাখী টেলিভিশন, একুশে টিভি, যমুনা, এটিএন নিউজের গাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের একটি মাইক্রোবাসও হামলামুখে পড়ে। এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মাহমুদ, একাত্তর টিভির আলোকচিত্রী আলম হোসেন ও সিনিয়র প্রতিবেদক শফিক আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। বৈশাখী টিভির সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম মোর্শেদ, কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, যুগান্তর, যায়যায়দিন, সংগ্রাম, জিটিভি, আমাদের সময়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা হামলার শিকার হন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন। একাত্তর টিভির এক কর্মী ভিডিও ধারণ করতে গেলে তিনিও মারধরের শিকার হন। এ সময় একজন হামলাকারী দৌড়ে এসে ওই আলোকচিত্রীকে বলেন, একাত্তর-মেকাত্তর বুঝি না, তুই ক্যামেরায় ছবি কিল্লাই তুলবি? তোর ক্যামরা ভাঙিয়া হালামু। এ সময়ে ক্যামেরা নিয়ে টানাহেঁচড়া করে তারা। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে লাঠি হাতে বহরে থাকা গাড়িগুলোর সামনে গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকে। বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বহু গাড়ি ভাঙচুর হয়। নেতা-কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে হামলার শিকার সাংবাদিকরা ফেনীর লালপুরের একটি হোটেলে এসে উঠে। সেখানে একদল সন্ত্রাসী এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা এখান থেকে চলে যান। আমাদের নির্দেশনা আছে। নইলে বড় ধরনের বিপদে পড়বেন। ’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার জানান, তাদের বহরে থাকা মহানগর দক্ষিণের ১০-১১টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদল, যুবদলের অনেক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অনেকে ভয়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা বহরে আসা গাড়িগুলো বেছে বেছে ভাঙচুর করতে দেখা গেছে। মোহাম্মদ আলী বাজারের কাছে বহরের বাইরে দূরপাল্লার বাসসহ ট্রাক ও প্রাইভেট কারগুলো ভাঙচুর করেনি। হামলাকারীদের হাতে অস্ত্রও দেখা গেছে। খালেদা জিয়ার বহর কুমিল্লার দাউদকান্দি অতিক্রমের আগে দুপুরের দিকে দাউদকান্দিতে বিএনপির কয়েকটি গাড়ি ছাত্রলীগের সশস্ত্র যুবকরা ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু। এ সময় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ ও খন্দকার মাশুকুর রহমান বুলু সঙ্গে ছিলেন। এ ছাড়া, মুন্সীগঞ্জের ভবেরচর ও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জের কাছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দুপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। মুরাদনগরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফেনীতে যাত্রাবিরতির সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সাক্ষাৎ ঠেকাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সড়কে অবরোধ করে বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। এর আগে ফেনী সার্কিট হাউসে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ফেনী জেলা সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রেহানা আখতার রানু প্রমুখ। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাত কাটিয়ে আজ বেলা ১১টায় সড়ক পথে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি প্রধান। সেখানে সার্কিট হাউসে রাত কাটিয়ে আগামীকাল সোমবার উখিয়ার বালুখালী, বোয়ালমারা ও জামতলী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে তার। গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ সিনিয়র নেতারা খালেদার সঙ্গে ছিলেন। খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে নেতা-কর্মীদের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। কমপক্ষে দুই ডজন স্পটে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা ব্যাপক শোডাউন করেছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে একনজর দেখার জন্য সাধারণ মানুষও এতে শরিক হন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে, মাথায় ব্যান্ড বেঁধে স্লোগানের তালে তালে পথে পথে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। খালেদা জিয়া গাড়ির ভিতর থেকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দেন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশি বাধার খবর পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই নেতা-কর্মীদের রুখতে পারেনি। খালেদা জিয়ার এ সফরকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যাত্রাপথে রাজধানীর নয়াপল্টন, মতিঝিল, হাটখোলা, যাত্রাবাড়ী, কাঁচপুর ব্রিজ মোড়, সোনারগাঁও মোড়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, ভবেরচর, কুমিল্লার দাউদকান্দি, ইলিয়টগঞ্জ, নিমসার, চান্দিনা, ময়নামতি সেনানিবাস মোড়, কুমিল্লার বিশ্বরোড, চৌদ্দগ্রামের মিঞাবাজার, ফেনীর মহিপালসহ বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানায়। বিএনপি চেয়ারপারসন গাড়ির ভিতর থেকে হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। এসব জায়গায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতির পাশাপাশি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সালাহউদ্দিন আহমেদ ও নবীউল্লাহ নবী, শনির আখড়ায় রতন চেয়ারম্যান, চিটাগাং রোডে নারায়ণগঞ্জের শাহ আলম, মো. গিয়াসউদ্দিন, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, আতাউর রহমান আঙ্গুর, অধ্যাপক রেজাউল করীম, বদরুজ্জামান খসরু, তৈমুর আলম খন্দকার, মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দীপু, নজরুল ইসলাম আজাদ, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আবদুল হাই, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, কুমিল্লার দাউকান্দিতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খন্দকার মারুফ হোসেন, হোমনায় অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, দেবীদ্বারে আবদুল আউয়াল খান, ব্রাহ্মণপাড়ায় সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, আলেখার চরে হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসিন, বিশ্বরোডে কুমিল্লার সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, চৈতি আবুল কালাম, মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া, মোরতাজুল করীম বাদরু, চৌদ্দগ্রামের মিঞাবাজারে কামরুল হুদা, ফেনী সদরে রেহানা আখতার রানু, ভিপি জয়নাল তাদের সমর্থকদের নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানান। কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক ইলিয়টগঞ্জে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। ফলে ওইসব স্থানে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়। ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কাঁচপুর ব্রিজের আগেই ব্যাপক যানজটের মুখে পড়ে। ঘণ্টা খানেক তার গাড়ি বসেছিল। এ সময়ে তার নিরাপত্তা কর্মীরা গাড়িটি ঘিরে রাখে। গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার যাত্রার আগমুহূর্তে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশ থেকে চিকিৎসা করে আসার পরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিঙ্গাদের দেখতে যাবেন এবং ত্রাণ বিতরণ করবেন। এ উদ্দেশে তিনি রওনা হচ্ছেন। তার এ সিদ্ধান্ত কর্মীদের মধ্যে অত্যন্ত আশার সৃষ্টি করেছেন, দেশনেত্রী মানুষের জন্যে, মানবতার জন্য ছুটে যাচ্ছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের পাশে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, পথিমধ্যে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পাব। আমাদেরকে পুলিশের মহাপরিদর্শক আশ্বাস দিয়েছেন যে, তারা দেশনেত্রীর যে নিরাপত্তা তা নিশ্চিত করবেন এবং একই সঙ্গে এই সফর যাতে সুন্দরভাবে হয়, তাতে সহযোগিতা করবেন। দলের নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়াকে যাতে শুভেচ্ছা জানাতে পারে সেজন্য জেলা নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। আমাদের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের নেত্রীকে সামনে দেখবেন সে জন্য যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়— সেটাও আমরা নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। তারা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাবেন, সংবর্ধনা জানাবেন।
খালেদার সফরে পুলিশের বাধা নেই : রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খালেদার কর্মসূচিতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) আকরামুল হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনো অপতত্পরতা না হয়— সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। সার্কিট হাউসে রাতযাপন উপলক্ষে আশপাশের এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খালেদার সফরসঙ্গীদের জন্য মেজবান : খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের জন্য চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন মেজবানির আয়োজন করেছেন। দুই হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন ছিল সেখানে। মেন্যু হিসেবে উন্নত মানের সিদ্ধ চালের ভাতের সঙ্গে ছিল চট্টগ্রামের মেজবানি মাংস, নলার ঝোল, হাড় ও ছনার ডাল দিয়ে একটি বিশেষ আইটেম। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ আয়োজন হয়।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com