সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রামে তথ্য আদান প্রদান ও বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনে অধস্তন আদালতের বিচারকদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিজ কর্মক্ষেত্রে মামলার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত একাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
এছাড়া অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিঙ্ক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যকে সংযুক্তকরণ, আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচার ছাড়াও বিচারিক কর্মঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত এর ব্যবহার থেকে বিচারকদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশক্রমে রবিবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচারকদেরকে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। যদি তা না করা হয় এবং সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রণীত এই নির্দেশনাসমূহ অমান্য করলে তা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য দায়ী বিচারকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।