রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার একটি বাস ছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন—বিআরটিসির। রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার সেই বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না। দুর্ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গঠন করা তিন সদস্যের কমিটি সূত্রে আজ সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি, দুর্ঘটনাকবলিত বিআরটিসি বাসের কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না। তবে গেটলক রুবি পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল।’
এদিকে দুই বাসের চালক ও সহকারীসহ চারজনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। সকালে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী হত্যার অভিযোগে মোটরযান আইনে গেটলক রুবি পরিবহন বাসের চালক শাহাদত হোসেন ও বিআরটিসি বাসের চালক সামসুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও সহকারীরা পলাতক রয়েছেন।
রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, পলাতক চালক ও সহকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রংপুর শহরের বিজিবি সদর দপ্তরের কাছে খান পেট্রলপাম্পের সামনে গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিআরটিসি ও রুবি পরিবহনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন নিহত হন। আজ সোমবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একটি শিশু মারা যায়। ওই দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রংপুরের ওই দুর্ঘটনাসহ গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হন। আর হিসাব অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত ৫৫৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৫০ জন। সেই হিসাবে দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে অন্তত নয়জন।