ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার যেন এখন স্মার্টফোনের অতিপরিচিত একটি ফিচার হয়ে উঠেছে। আগামী বছরের সম্ভাব্য স্মার্টফোনগুলোয় এ ফিচার আরও বেশি দেখা যাবে। অথচ মাত্র চার বছর আগে ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার প্রযুক্তি স্মার্টফোনে যুক্ত হয়েছিল। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ১০০ কোটির বেশি স্মার্টফোনে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর যুক্ত থাকবে।
আইফোন ৫ এস মডেলের সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার এনে তা জনপ্রিয় করে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। এরপর তা প্রায় সব স্মার্টফোন নির্মাতারা ব্যবহার শুরু করে। কাউন্টার পয়েন্টের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন নির্মাতাদের নিরাপত্তা প্রযুক্তির একটি মান হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে এ প্রযুক্তি।
স্যামসাং, অ্যাপল ও হুয়াওয়ে বিশ্বের প্রথম সারির তিন স্মার্টফোন নির্মাতা ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি যুক্ত করছে। এ বছরে দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাসে বাজারে আসা মোট স্মার্টফোনের ১২ শতাংশে ফিঙ্গার প্রিন্ট যুক্ত করেছে স্যামসাং। এরপর রয়েছে অ্যাপল (১১ শতাংশ) ও হুয়াওয়ে (৮ শতাংশ)।
বিশ্বজুড়ে মোবাইল পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে এ ফিচার ব্যবহার শুরু হওয়ায় ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানারের ব্যবহার দ্রুত বাড়তে দেখা যাচ্ছে। দুই বছর আগে পর্যন্ত ফিচারটি কেবল প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে দেখা যেত। এর কারণে স্মার্টফোনের দামের তারতম্য দেখা যেত। বর্তমানে শাওমির সাশ্রয়ী দামের ফোনেও এ প্রযুক্তি চলে এসেছে।
কাউন্টার পয়েন্টের গবেষণা পরিচালক নেইল শাহ বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সরকে সহজে বোকা বানানো যায় বলে এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে সর্বশেষ হালনাগাদ ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সরগুলোয় সরাসরি আঙুল শনাক্ত বা আলট্রাসনিক ফিঙ্গার প্রিন্ট বোঝার প্রযুক্তি আছে, যা আঙুলের থ্রিডি ছবি তৈরি করে। ফলে এটি এখন কিছুটা নিরাপদ হয়ে উঠেছে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি অনলাইন।