ফায়ার সার্ভিসের নিহত ৮ জনের পরিচয় মিলেছে

:
: ২ years ago

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের নয়জন কর্মীর মরদেহের খোঁজ মিলেছে। তাদের মধ্যে আটজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জরুরি সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটির নিখোঁজ সদস্যদের মধ্যে এ পর্যন্ত চারজনের খোঁজ মিলেছে।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা হলেন- ফায়ারফাইটার মো. রানা মিয়া, গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ; নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়; ফায়ারফাইটার আলাউদ্দিন, গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী, মো. শাকিল তরফদার ও লিডার মিঠু দেওয়ান, গ্রামের বাড়ি রাঙ্গামাটি। এ পাঁচজন কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়া নিহত অন্য তিনজন সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের কর্মরত ছিলেন। তারা হলেন- রাঙ্গামাটির লিডার নিপন চাকমা, শেরপুরের ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম, ফেনীর ফায়ারফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিহত অপর একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

অন্যদিকে নিখোঁজদের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়া চার ফায়ার সার্ভিসকর্মী হলেন- কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার মো. ইমরান হোসেন মজুমদার, গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর; একই ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার শফিউল ইসলাম, গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ; সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার মো. রবিউল ইসলাম, গ্রামের বাড়ি নওগাঁ এবং একই ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার ফরিদুজ্জামান, গ্রামের বাড়ি রংপুর।

শনিবার রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে লাগা আগুন রোববার (৫ জুন) রাত ৮টা পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৯ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে আহত চার শতাধিক মানুষের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দা, ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান এবং সুষ্ঠু তদন্তে পৃথক কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। স্মরণকালের ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।