রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ফার্মগেটে দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক ফুটওভার ব্রিজ পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের মে মাসে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি ১৩২ ফিট লম্বা, প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট রয়েছে। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু সিঁড়ি বসানো হয়েছে। তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে এই ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে ফুটওভার ব্রিজটি পথচারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ফুটওভার ব্যবহারকারী পথচারী রবিন ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও ফুটওভার ব্রিজটি চালু হয়েছে। এটি নতুন ডিজাইনের এবং অনেক প্রসস্ত দেখছি। দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। এখন ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করলেই হয়।
আরেক পথচারী মৌমিতা বলেন, ফার্মগেট এলাকায় প্রচুর মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে রাস্তা পার হয়। তবে এটি সুন্দর। খেয়াল রাখতে হবে, আগের ফুটওভার ব্রিজের মতো যেনো এটিও হকারদের দখলে চলে না যায়। তাহলে পথচারিদের বিড়ম্বনা বাড়বে, এর সৌন্দর্যও নষ্ট হবে। আগের মতোই মানুষ এখানে উঠতে অনিরাপদ মনে করবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, রাজধানীর এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। যে কারণে রাস্তা পারাপারে বিড়ম্বনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি পোহাতে হচ্ছিল। প্রায় তিন মাস আগে ব্রিজ নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে বিভিন্ন কারণে তা এতদিন চালু করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঢাকা এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। আর ব্রিজটি প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।
ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের সব দেখতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে। তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’রও সুবিধা রাখা হবে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com