#

গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকাই চলচ্চিত্রের বরেণ্য চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার মৃত্যুর কারণে ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

ফারুকের মৃত্যুর পর এ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকে। টিভি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান এর সূচনা করেন। দু’দিন আগে সিদ্দিকুর রহমান বলেন— ‘মনোনয়ন পেলে ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো আমি সম্পন্ন করতে চাই।’ এরপর এ আসনের জন্য চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নাম উঠে আসে। আর এ প্রস্তাব রাখেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। এবার সামনে এলো চিত্রনায়ক আলমগীরের নাম। শুক্রবার (১৯ মে) ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ প্রস্তাব রেখেছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান।

 

লেখার শুরুতে অঞ্জনা রহমান বলেন, ‘সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি চিত্রনায়ক এবং ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়াতে চলচ্চিত্র শিল্পে যেমন শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি শূন্যতা বিরাজ করছে ঢাকা-১৭ আসনে। চলচ্চিত্র শিল্প থেকে অনেকে চাচ্ছেন এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে যাকে মনোনীত করবেন সেই হবেন এই আসনের নৌকার মাঝি।’

চিত্রনায়ক আলমগীর শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠেছেন। এ তথ্য উল্লেখ করে অঞ্জনা রহমান বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়ক আলমগীর ভাই। যার অবদান এই চলচ্চিত্র শিল্পে অতুলনীয়। শুধু চলচ্চিত্র শিল্পই নয়, সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে যার অনন্য অবদান। আপনারা অনেকে বলতে পারেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে আলমগীর ভাইয়ের অবদান কী? এই ক্ষেত্রে বলতে গেলে আলমগীর ভাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠেছেন সেই শৈশব থেকেই।’

 

নায়ক ফারুকের অসম্পূর্ণ কাজ একমাত্র আলমগীরের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব। তা জানিয়ে অঞ্জনা রহমান বলেন, ‘একজন প্রকৃত শিল্পী রাষ্ট্রের সম্পদ, চলচ্চিত্র শিল্প হচ্ছে দেশের সবচাইতে বড় শক্তিশালী গণমাধ্যম। আর আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের সবচাইতে বড় একজন গার্ডিয়ান হলেন প্রাণপ্রিয় আলমগীর ভাই। ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো যদি কারো মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়, তবে তিনি আলমগীর ভাই। নায়ক আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিরলসভাবে জনগণের কল্যাণে প্রতিনিয়ত কাজ করবেন। স্পষ্টবাদী ও মিথ্যার সঙ্গে কখনো আপোষ করেননি আলমগীর ভাই। তিনি একজন দানবীর, দানের কথা নিজের মধ্যে গোপন রাখেন।’

আলমগীরের বিভিন্ন কল্যাণমূলক সামাজিক কার্যক্রমের তথ্য উল্লেখ করে অঞ্জনা রহমান বলেন,  ‘সংসদ সদস্য না হয়েও আলমগীর ভাই যা করেছেন, তা এ দেশের অনেক সংসদ সদস্যও করতে পারেননি। মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিম খানা নির্মাণ করেছেন, স্কুল নির্মাণ করেছেন এবং প্রতিনিয়ত দুঃখী মানুষের সাহায্যার্থে কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে-নিভৃতে। এ রকম মহৎ, হৃদয়বান ব্যক্তি বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে আসলে, দেশ ও জনগণের শুধু উপকারই হবে না, জনমনে এক প্রকার শান্তি আর্বিভূত হবে।’

ঢাকা-১৭ আসনে আলমগীরকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে অঞ্জন রহমান বলেন, ‘আলমগীর ভাই না চাইলেও আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা চাই, প্রয়াত ফারুক ভাইয়ের অসম্পন্ন কাজগুলো এই কিংবদন্তি চিত্রনায়ক আলমগীর ভাইয়ের হাতে পূর্ণতা পাক।’

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন