ফাইনালে সাকিবের ঢাকার সঙ্গী মাশরাফির রংপুর

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

১৯৩ রানের টার্গেট। মিরপুরের এই উইকেটে এত রান তাড়া করা কঠিনই ছিল। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শুরুটা দেখে তা বিন্দুমাত্র মনে হয়নি। বিনা উইকেটে ৫৩ রান তুলে ফেলে দলটি। কিন্তু এরপরই খেই হারিয়ে ফেলে তামিম বাহিনী। পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয় কুমিল্লা। এতে ৩৬ রানে জিতে তাদের বিদায় করে বিপিএল-২০১৭’র ফাইনালে উঠেছে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় সাকিবের ঢাকার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে উত্তরবঙ্গের দলটি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে কুমিল্লা। বিনা উইকেটে ৫৩ রান তুলে ফেলে দলটি। দলীয় ৫৪ রানে মাশরাফির শিকার হয়ে ফেরেন তামিম (৩৬)। এরপর যাওয়া-আসার মধ্যেই থেকেছেন কুমিল্লা ব্যাটসম্যানরা। পরের ওভারেই সোহাগ গাজীর শিকার হয়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস (০)। দলীয় ৭৫ রানে স্নেক ড্যান্সার নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ফেরেন শোয়েব মালিক। দলীয় ৯৬ রানে উদানার শিকার বনেন লড়তে থাকা লিটন দাস (৩৯)। এতে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। মাঝখানে রোবটের মতো চেষ্টা করেন মারলন স্যামুয়েলস ও জস বাটলার। প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন তারা। তবে রবি বোপারা এই দুজনকে সাজঘরে ফেরালে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয় টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট দলটি।

রংপুরের হয়ে রুবেল হোসেন ৩টি এবং বোপারা ও উদানা নেন ২টি করে উইকেট।এর আগে আগের দিনে ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে সোমবার ব্যাট করতে নামে রংপুর। খেলা শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো কুমিল্লা বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তাদের স্টিম রোলারে পিষ্ট হন হাসান-মেহেদি-সাইফুদ্দিনরা। শেষ পর্যন্ত দুজনের টর্নেডোতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯২ রান করে ম্যাশ বাহিনী।

দলের হয়ে ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকান চার্লস। ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৫  রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। কিউই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম করেন ৪৬ বলে ৭৮ রান।কুমিল্লার হয়ে মেহেদি হাসান, হাসান আলি ও মোহম্মদ সাইফুদ্দিন ঝুলিতে ভরেন ১টি করে উইকেট।

এর আগের দিন রোববার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুখোমুখি হয় রংপুর-কুমিল্লা। এতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ম্যাশ বাহিনী। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। সূচনালগ্নেই ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইলের উইকেট হারায় তারা। তবে পরক্ষণে খেলা ধরেন চার্লস ও ম্যাককালাম। ৭ ওভারে তারা ৫৫ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। এরপর বৃষ্টি থামলেও খেলা গড়ানোর পরিস্থিতি না থাকায় ম্যাচটি রিজার্ভ ডেতে নিয়ে যায় বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।