মাদকাসক্তি একটি বহুমাতিৃক সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যা ক্রমশঃ
বিস্তৃত হচ্ছে ব্যক্তি হতে পরিবার, পরিবার হতে সমাজে, সমাজ হতে রাষ্ট্র। যে যুব
সমাজ দেশ ও জাতির আগামী দিনের চালিকা শক্তি, তাদের একটি অংশ মাদকাশক্তির কবলে
পড়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন
(র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন
করে আসছে। র্যাব এই পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে
সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ধারাবাহিকতায়, র্যাব-৮, বরিশাল এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল র্যাব-৮ এর
উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম এবং ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী
অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন এর যৌথ নেতৃত্বে অদ্য ১৪
অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫.৩০ ঘটিকার সময় ফরিদপুর জেলার
মধুখালী থানাধীন কামারখালী টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ
বিল্লাল হোসেন(৩৯), পিতাঃ মোঃ লুৎফর রহমান, সাং-জয়পুর, ২। মোঃ সোহরাব
হোসেন (২১), পিতাঃ মোঃ সোবহান হোসেন, সাং-জলকারইতা, উভয় থানাঃ
মনিরামপুর, জেলাঃ যশোরদ্বয়কে ৭০৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ হাতে নাতে আটক করে।
উক্ত বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল সমূহ একটি মাছের ট্রাকের মাধ্যমে বিশেষ কৌশলে
পরিবহন করা হচ্ছিল বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে। এ সময়
ফেন্সিডিল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত মাছ বোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য যে,
ধৃত আসামীগণ পেশাদার ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী এবং তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তবর্তী যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত এলাকা
দিয়ে ভারত হতে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে পাইকারী ভিত্তিতে ফরিদপুরসহ রাজধানীর
বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকে। আটককৃত আসামীদেরকে উদ্ধারকৃত
ফেন্সিডিলসহ ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ সংক্রান্তে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন
রয়েছে।