ফরিদপুরে এক ঘরে মিলল স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ। স্ত্রী মৃত অবস্থায় শয্যায় শোয়া ছিলেন আর স্বামীকে ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চঘাট এলাকায়। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে তারা আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাদের হত্যা করেছে বিষয়টি জানা যায়নি। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত স্বামী ও স্ত্রীর নাম রাজীব বিশ্বাস (৩৪) ও সোনালী বণিক স্মৃতি (২২)। তারা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী এলাকার বাসিন্দা। সোনালী বণিক স্মৃতি মুকসুদপুরের বাটিকামারী এলাকার খোকন বণিকের মেয়ে। রাজীব বিশ্বাস একই উপজেলার উজান গ্রামের নিরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, গত দুই বছর আগে ফরিদপুরের লঞ্চঘাট এলাকার মো. শওকতের একতলা পাকা বাড়িটি ভাড়া নেন তারা। শওকতের বাড়িটি লঞ্চঘাট এলাকায় কুমার নদের পূর্বপাড়সংলগ্ন। রাজীব টিউশনি করতেন এবং স্মৃতি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকালে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়ার খবর শুনেছি। দুপুর ও বিকেল পর্যন্ত রাজীর ও স্মৃতি যে বাড়িতে থাকেন সে বাড়ির প্রতিটি দরজা ও জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দুপুর, বিকেল ও সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরের জানালা বাইরে থেকে খুলে দেখতে পান রাজীবের শরীর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। স্মৃতি একই কক্ষে শয্যায় পড়ে আছেন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
স্মৃতির এক আত্মীয় গোপাল পোদ্দার জানান, দুই বছর আগে রাজীব ও স্মৃতি নিজেদের মনমতো বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ফরিদপুর শহরে এসে বসবাস করা শুরু করেন। দুই বছরে তাদের কোনো সন্তান হয়নি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজীবের মরদেহ এবং শয্যায় পড়ে থাকা অবস্থায় স্মৃতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, যে ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।