This video from Puri is terrifying #CycloneFani pic.twitter.com/VRGqu1OGhU #CycloneFani
প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতের ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরী, জগৎসিংপুর, কেন্দপড়া এবং খুরদা রোড। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে স্কাইমেট ওয়েদারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে শুক্রবার সকালে ভারতের ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ফণী। এতে বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা, বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা। ওড়িশার ১১ জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরীর সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। গোপালপুরসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে বইছে প্রবল বাতাস। বিভিন্ন এলাকায় গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল ফণী। এরপর তীব্র শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে ওড়িশায়। ২০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ফণীর প্রভাবে পুরীতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ফণী আঘাত হানার আগে বৃহস্পতিবার ওড়িশার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ইতোমধ্যেই অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত ও শক্তিশালী ঝড় বয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে।
বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে হাওড়া ও শহরের কাছাকাছি উত্তর ২৪ পরগনাতেও। ওড়িশার স্থলভাগের গভীরে না গিয়ে ক্রমশ উপকূল বরাবর পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। আর সে কারণেই উদ্বিগ্ন আবহাওয়াবিদরা। সেখানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতা থেকে ফণীর অবস্থান ছিল ৪১৮ কিলোমিটার এবং দিঘা থেকে ৩৬৪ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু এখন এটি পশ্চিমবঙ্গে খুব কাছে চলে এসেছে। ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিতে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়।
অভিমুখ বদলে ওড়িশার স্থলভাগের দিকে না এগিয়ে যদি উপকূল বরাবরই পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছায়, তবে মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।