চরিত্রের স্বার্থে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। নিজেকে উপস্থাপন করতে হয় আলাদা আলাদা ভাবে। সে কথা সকলের অজানা নয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেকআপ, গেটআপ এর মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ।
এবারের বিষয়টি একদম আলাদা। গল্পে সুমাইয়া শিমু ভালোবাসতো রওনক হাসানকে। কিন্তু তার ভালোবাসায় বাধ সাধেন নাফিজা নাফা। যে কোন মূল্যে নাফা পেতে চান রওনক হাসানকে। তাই সার্জারি করে সুমাইয়া শিমুর চেহারার আদলে নিজের চেহারাকে বদল করে ফেলেন নাফা। যা কিনা পরবর্তীতে ওই চরিত্রটি সুমাইয়া শিমুই অভিনয় করেন।
সম্প্রতি ‘চেহারা’ নামক একটি নাটকে এমন একটি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন সুমাইয়া শিমু। নাকটটি রচনা করেছেন আহসান হাবিব সকাল আর পরিচালনা করেছেন নাট্য নির্মাতা দীপু হাজরা।
নাকটটিতে শিমু ছাড়া আরও অভিনয় করেন রওনক হাসান, ড. ইনামুল হক, নাফিজা নাফা, মীর শহীদ, সোহানা সীমা, রশেদা রাখী, নিথর মাহবুব, খালেদ সোহান, রবিন প্রমুখ।
অভিনয় প্রসঙ্গে শিমু বলেন, দীপু হাজরা ভাইয়ের সাথে পরিচয় প্রায় ১৪-১৫ বছরের। তখন আমি ‘স্বপ্ন চূড়া’ নাটকে অভিনয় করি আর উনি তখন ওই নাটকে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন। প্রায় টানা ৫ বছর কাজ করেছি এক সাথে। তারপর দীর্ঘবিরতি। সর্বশেষ উনার নির্দেশনায় গেলে ঈদে ‘আহত গন্তব্য’ নামের একটি নাককে অপূর্বের বিপরীতে অভিনয় করেছিলাম। যেটি মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল। বেশ সারা পেয়েছিলাম নাকটি প্রচারের পর।
দীপু ভাইয়ের কাজের ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নেই। খুব ভালো কাজ করেন। সবচেয়ে বড় কথা গোছানো একটি ইউনিট। যা করতে চান আগে থেকে ভেবে নেন।
চরিত্র প্রসঙ্গে শিমু বলেন, প্রথম যখন গল্পটা পড়ি আমার বেশ ভালো লেগেছে। হয়তো দ্বৈত চরিত্র আমরা করি ভাই/বোন এর ক্ষেত্রে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ আলাদা। নিজের চেহারা সার্জারি মাধ্যমে বদলে অন্যের চেহারা ধারণ করে অভিনয় করা বিষয়টি আমার কাছে খুবই ইন্টাররেস্টিং লেগেছে। অভিনয় করেও বেশ মজা পেয়েছি। আশা করি দর্শকরা ভিন্ন একটি স্বাদ পাবেন।
আসছে ঈদে কোন একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে নাটকটি প্রচারের কথা হয়েছে।