প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

কদিন বাদেই পর্দা উঠছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের জমজমাট এই আসরকে কেন্দ্র করে ক্রীড়াপাগল বাংলাদেশিদের মাঝে উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে। আর যে কোনো আসর কিংবা বিশ্বকাপ এলেই লাল সবুজের দলের জার্সির দিকে ভক্ত হতে শুরু করে বোদ্ধাদের থাকে বিশেষ নজর। কেমন হবে বিশ্বকাপ জার্সি এই আলোচনায় মুখরিত থাকে ক্রিকেট আড্ডাগুলো। সব কিছু মিলিয়ে বিশেষভাবে বানানো হয় এই জার্সি। কখনো ভক্তরা সাদরে গ্রহণ করেন আবার কখনো তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেন। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জার্সি তো পরিবর্তনই করতে হয়েছে সমালোচনায় পড়ে। এবার কেমন হচ্ছে?

বাংলাদেশের জার্সি তৈরি করে স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানটি এবারো বিশেষ জার্সি নিয়ে এসেছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) রাইজিংবিডিকে জার্সিটি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টজের ম্যানেজিং পার্টনার মেহতাবউদ্দিন আনোয়ার আহমেদ।

 

মেহতাব উদ্দিন জানান, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জার্সিটি হচ্ছে রেট্রো (যে জার্সি আগে একবার পরা হয়েছে) জার্সি। ২০০৪-০৫ সালের জার্সি থেকে আইডিয়া নিয়ে এটি বানানো, তবে পুরোপুরি নকল নয়। যেটি ২০০৫ সালে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে পরেছিল বাংলাদেশ।

তিনি আরও জানান, জার্সির সামনের অংশ তৈরিতে যে সুতো ব্যবহার হয়েছে সেটি রিসাইকেল জ্যাকার্ড ফেব্রিক নামে পরিচিত। যেটি প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি। সামনে ও পেছনের অংশ আলাদা। পেছনের অংশ বানানো হয়েছে ম্যাশ ফেব্রিক থেকে। যেটাতে বাতাস আসা যাওয়ার (এয়ার সার্কুলেশনের) ব্যবস্থা আছে। আরব আমিরাতের গরমের কথা বিবেচনা করেই এমন জার্সি। কাঁধের অংশ লালের আবহ আর পুরোটা জুড়ে সবুজ।

ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ এই জার্সিটি গায়ে দিয়েই নেমেছিল। তখন থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এটি নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়। আজ সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে জার্সিটি উন্মোচিত হবে।