লন্ডনের উইন্ডসর ক্যাসলে আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কলের বিয়ে। সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল গির্জায় ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ ও ৬০০ নিমন্ত্রিত অতিথির উপস্থিতিতে তারা বিয়ের শপথ বাক্য পাঠ করেন ও আংটি বদল করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ ডিজাইনার ক্লেয়ার ওয়েইট কেলারের তৈরি বিয়ের পোশাক পরে আসেন মেগান মার্কল। গির্জায় শ্বশুর প্রিন্স চার্লস তার হাত ধরে বিয়ের মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান। বিয়ের পর প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কলের উপাধি হচ্ছে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমরিকান টক শো হোস্ট অপরাহ্ উইনফ্রে, অভিনেতা জর্জ ক্লুনি ও তার স্ত্রী আমাল, ইদ্রিস এলবা ও তার প্রেমিকা সাব্রিনা ধৌরি, সাবেক ফুটবল ডেভিড বেকহ্যাম ও তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া, টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস, প্রিন্স হ্যারির বন্ধু গায়ক জেমস ব্লান্ট ও তার স্ত্রী সোফিয়া ওয়েলেসলি।
রাজকীয় এ বিয়ে উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষ উইন্ডসরে হাজির হন। সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ টেলিভিশনে বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেন।
বিয়েতে রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রানী এলিজাবেথ, তার স্বামী এডিনবরার ডিউক, প্রিন্স হ্যারির ভাই ডিউক অব কেমব্রিজ উইলিয়াম, হ্যারির মামা ও প্রিন্সেস ডায়ানার ভাই আর্ল স্পেন্সার ও তার স্ত্রী ক্যারেন এবং ডাচেস অব ইয়র্ক সারাহ্ ফার্গুসন।
রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান নয় বলে এতে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বা অন্য কোনো রাজনীতিককে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বিবিসির রাজপরিবার সংক্রান্ত সংবাদদাতা জনি ডাইমন্ড বলছেন, আয়োজনের দিক থেকে এটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের এক রাজকীয় অনুষ্ঠান। অন্যান্য বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো এ বিয়েতে বড় বড় কেক তৈরি করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে গির্জার মধ্যে এবার গসপেল কয়্যার ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন করেন। বিয়ে উপলক্ষে প্রথমবারের মতো সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে ১২০০ ব্যক্তিকে উইন্ডসর প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
১৯৯৭ সালে প্রিন্স হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘পিপলস প্রিন্সেস’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই বিয়েটাকেও জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়েছে, বলেন জনি ডাইমন্ড। সূত্র: বিবিসি।