শামীম আহমেদ :: ভালোবেসে বাবা-মা ও স্বজনদের ছেড়ে মনিকা আক্তার পালিয়ে বিয়ে করেছিলো প্রেমিক জুয়েল মোল্লাকে। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই ভালোবাসা বিষাদে পরিণত হয়। যৌতুকের দাবিতে মনিকার উপর চলে নির্মম নির্যাতন।

বিদেশে যাওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মনিকাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি অমানুষিক নির্যাতন করে। মুমূর্ষ অবস্থায় মনিকাকে জেলার গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামে।

উপজেলার মাগুড়া পুনিয়াকান্দি গ্রামের নির্যাতিতা মনিকা আক্তারের মা ববিতা বেগম জানান, তিন বছর পূর্বে পরিবারের সকলে অমতে পালিয়ে তার মেয়ে একই উপজেলার কটকস্থল গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার পুত্র জুয়েল মোল্লাকে বিয়ে করে।

বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মনিকাকে তার স্বামী জুয়েল মোল্লা, শাশুড়ি সুফিয়া বেগম অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে। বুধবার দুপুরে হাসপাতালের বেডে শয্যাশায়ী মনিকা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।

এর আগে আমাকে লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে জখম করে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করেন।