প্রেমের টানে বরিশালে এসে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে ভারতীয় এক যুবক। বুধবার ভোর রাতে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত ওই যুবকের নাম জাবেদ খান (২৯)। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের হাসানপুরের বাসিন্দা।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, একজন ভারতীয় নাগরিক মারা গেছে। বিস্তারিত কারন জানার চেষ্টা চলছে।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সগীর হোসেন জানান, ভারতীয় নাগরিকের লাশের ময়না তদন্ত শেষে হিমাগারে রাখা হয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. খলিল জানান, এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মামলা নং ৪১১।
আবাসিক হোটেল এথেনার ম্যানেজার মো. সাব্বির হোসেন বলেন, গত ৯ অক্টোবর সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে জাবেদ খান হোটেলে ইন করেন। তিনি ৪১০ নম্বর কক্ষে ছিলেন। গত ১০ অক্টোবর বিকেলে কক্ষ ছেড়ে দেয়। পরে কাউন্টারে ব্যাগ রেখে একটি মেয়ের সাথে পাঁচটার দিকে বের হয়ে যায়। মেয়েটি এসে ব্যাগ নিয়ে গেছে। এ সময় সে জানিয়েছে, জাবেদ খান অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রেমিকা নগরীর বাসিন্দা তরুনী জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে তিন বছর পূর্বে তাদের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। জাবেদ এর আগেও বরিশালে এসেছিলো। গত ৯ অক্টোবর বরিশালে আসে সে। আগে থেকে জাবেদ অসুস্থ ছিলো। বরিশালে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জাভেদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। তারা বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার এসএম সাইফুল ইসলাম জানান, পূর্ব থেকে অসুস্থ ছিলো জাভেদ। তার বুকে, কিডনী ও গ্যাষ্টোলিভারে সমস্যা ছিলো। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এখানে দাফন করার সিদ্বান্ত দিলে এখানেই করা হবে। নিতে চাইলে, পাঠানো হবে। পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, জাভেদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি আমরা, তাদের কোনো অভিযোগ পাইনি। পুরো বিষয়টি তদন্ত চলছে।
ময়না তদন্ত সম্পনকারী কর্মকর্তা হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কেফায়েতুল হায়দার বলেন, ভারতীয় যে নাগরিক মারা গেছে, তার লাশের ময়না তদন্ত একটি বোর্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছি। তার ভিসেরা রিপোর্ট ও পূর্বের শারীরিক সমস্যার প্রতিবেদন পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করবো।