প্রেমের টানে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ছুটে আসেন ভারতীয় এক কিশোরী। প্রেমিক তন্ময় রাজবংশির (২১) ভগ্নিপতি বিয়ের আয়োজনও করে। এতে বাগড়া বসায় পুলিশ। দুজনকেই বিয়ের পিঁড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠানো হলেও এখনো আদালতে আছেন প্রেমিক তন্ময়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তন্ময় রাজবংশির বাড়ি বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবহা গ্রামে। কিশোরীর বাড়ি কলকাতার নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তন্ময় রাজবংশির। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী ভারত থেকে শুক্রবার বোয়ালমারীতে চলে আসেন।
এরপর তন্ময় রাজবংশির ভগ্নিপতি উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের বাসিন্দা গোপাল রাজবংশির বাড়িতে ওঠান। সেখানে রাতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। রাত ১১টার দিকে দুজন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, ‘এরকম ঘটনা শুনেছি। ভারত থেকে ওই কিশোরী প্রেমের টানে ছুটে আসে। তার বয়স না হওয়ায় এবং ভিসা-পাসপোর্ট না থাকায় পুলিশ দুজনকে আদালতে পাঠায়।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানেই মেয়েটি ছুটে এসেছে। তবে কিশোরীর কোনো ভিসা-পাসপোর্ট নেই আবার বয়সও কম। তাই তন্ময় রাজবংশিকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়। অপরদিকে ওই কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।