মাদারীপুরে নিখোঁজের আট মাস পর শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের ডাসার থানাধীন পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁন মিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চিকিৎসা করানোর কথা বলে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সাহাবুদ্দিন। এর পর নিখোঁজ হয় মুর্শিদা। এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় জিডি করে। এতে প্রতিকার না পাওয়ায় ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম।
দীর্ঘদিন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তরের আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম সাহাবুদ্দিনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে মুর্শিদাকে হত্যা ও লাশ গুম করার কথা স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন। সাহাবুদ্দিনের দেওয়া তথ্য মোতাবেক সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মামা টিপু সুলতান বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ডেকে নিয়ে যায়। সে দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় আমরা থানায় মামলা করতে যাই। তবে এতে পুলিশ অসহযোগিতা করে। পরে মামলা হলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।’
সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া।