প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে প্রেমিকের উপেক্ষায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে নাঙ্গলকোট বেগম জামিলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আক্তার (১৫)। এ অভিযোগ ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
তাসফিয়া কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ছোট ফতেপুর গ্রামের হাফেজ নেছার উদ্দিনের মেয়ে।
তাসফিয়ার স্বজনরা জানান, তাসফিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রা গ্রামের আরমান হোসেনের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আরমান নাঙ্গলকোট আরিফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সে একই উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভুলুয়া পাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। আরমান তার নানা বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। গত শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরমান তাসফিয়াকে ফোন দিয়ে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে নাঙ্গলকোট বাজারে নিয়ে এসে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এসময় স্থানীয়রা তাসফিয়াকে নাঙ্গলকোট বাজারে একা পেয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনার জেরে তাসফিয়া সোমবার বিকেলে ঘরের দরজা লাগিয়ে সিলিং ফ্যানে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
তাসফিয়ার মামা মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আমার ভাগনিকে ফুসলিয়ে আরমান গভীর রাতে ঘর থেকে বের করে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেওয়ায় মেয়েটি এভাবে জীবন দিয়ে দিয়েছে। আমি চাই তাসফিয়ার মতো এ ছেলে যেনো আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট করতে না পারে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণের কথাও জানান তিনি।