প্রাণ বাঁচাতে দুই সাংবাদিকের অভিযোগ- থানায় জিডি

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বরিশালে দুই সাংবাদিককে খুন-জখম এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই থানায় পৃথক অভিযোগ এবং সাধারণ ডায়েরী দায়ের হয়। হুমকির শিকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল যুগ যুগান্তর ডটকম’র চেয়ারম্যান ও বার্তা নিয়ন্ত্রক এবং স্থানীয় দৈনিক বাংলার বনে পত্রিকার বার্তা সম্পাদক তারেক আহমেদ কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার বরিশালের ফটো সাংবাদিক তানভীর আহমেদ অভি কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।

সাংবাদিক তারেক আহমেদের জিডি সূত্রে জানা গেছে, ১৩ নভেম্বর রাতে তার নিয়ন্ত্রিত অনলাইন নিউজ পোর্টার যুগ যুগান্তর ডটকম-এ ‘প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নগরীর পলাশপুরে মাদকের হাট’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করেন। ওই রাত ১১টা ১৪ মিনিটে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে ০১৯১২৪৪৯৮৮৮ নম্বর থেকে একটি কল আসে। কল রিসিভ করলে উক্ত সংবাদ প্রকাশের কথা উল্লেখ করে অকথ্য-অশ্রবন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে পরদিন সকালের মধ্যে দেখিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এরপর রাত ১২টা ২৩ মিনিটে ০১৯৬৮৫৩৫৬৩৬ নম্বর থেকে কল দিয়ে ফের ওই সংবাদের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিককে পরদিন সকালে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এসময় মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাকে দেখে নেবে বলেও হুশিয়ার করা হয়। এসব বিষয় উল্লেখ করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল সাংবাদিক তারেক কোতয়ালি মডেল থানায় জিডি করেন। জিডি নং- ৮৭৭।

অপরদিকে, অনলাইন নিউজ পোর্টালের ওই সংবাদের লিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় ১৩ নভেম্বর রাতে দৈনিক জনকণ্ঠের বরিশালের ফটোসাংবাদিক তানভীর আহমেদ অভির ভাটিখানা মোড়ের বাসায় ৩/৪টি মোটরসাইকেলযোগে যাওয়া দুর্বৃত্তরা হামলার চেষ্টা চালায়। এসময় তাকে না পেয়ে বাসার গেইট-দরজায় লাথি মেরে, পিটিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসে তারা। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভি। লিখিত অভিযোগে অভিযুক্তরা হচ্ছেন- ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুরের বাসিন্দা সোনাই সিকদারের ছেলে মেয়াদোত্তীর্ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি পরিচয়দানকারী সিরাজুল ইসলাম নয়ন, বাদশা খন্দকারের ছেলে আবির খন্দকার, মান্নান বেপারীর ছেলে হৃদয়, রিয়াদ ওরফে দাতু রিয়াদ, ইস্কানের ছেলে আসাদ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জন।

এ বিষয়ে দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।