প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধে একটি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা দিলেন যুগ্নসচিব গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করে। এই সমস্যার সমাধানে –
# কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়া ও পরীক্ষার দিন জেলা ও উপজেলায় প্রশ্ন ছেপে কেন্দ্রে সরবরাহের জটিলতা ও অনিশ্চিয়তার প্রেক্ষাপটে একটি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা নিবেদন করা হলো।

বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান যুগ্নসচিব পদে পদোন্নতি

 ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান যুগ্নসচিব 

প্রস্তাবনা
প্রতিবছরের প্রথম দিবসে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সরকারের একটি যুগান্তকারী ও সুদূর প্রসারী পদক্ষেপ। একই ভাবে প্রতিবছর পরীক্ষার ছয় মাস পূর্বে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রতিটি বিষয়ের ১০০টি সেট প্রশ্ন সম্বলিত একটি করে ‘প্রশ্নগ্রন্থ’ তুলে দেওয়া যেতে পারে। ঐ প্রশ্নগ্রন্থের ১০০টি প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাসের সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীগণ তখনও জানতে পারবে না ০০১ থেকে ১০০ ক্রমিকের কোন সেটে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার দিন সকলেই ১০০ সেটের ‘প্রশ্নগ্রন্থ’ নিয়ে পরীক্ষা কক্ষে বসবে। তাদের আলাদা কোনো প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবের নিকট মোবাইল ফোনের এসএমএস আসবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব/ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট থেকে। সেই বার্তায় ০০১-১০০ ক্রমিকের যে কোনো একটি নম্বর উল্লেখ থাকবে। ধরা যাক, পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় এসএমএস এলো ‘পদার্থ ০৭১’, তখন কেন্দ্র সচিব সকল কক্ষে জানিয়ে দিবেন আজ প্রশ্নগ্রন্থের ০৭১ নং সেটে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীরা নিজের হাতে থাকা প্রশ্নগ্রন্থের ০৭১ নম্বর সেটে লিখিত প্রশ্ন দেখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

এই পদ্ধতির সুবিধাসমূহ এই পদ্ধতিতে 
# প্রশ্নফাঁসের কোনো ঝুঁকি নেই;
# প্রশ্নপত্র পরিবহনের জটিলতা ও ব্যয় নেই;
# প্রশ্নগ্রন্থের সকল সেটেরই প্রস্তুতি নিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে;
# প্রশ্নগ্রন্থ নির্ভর প্রস্তুতি নেওয়ার নিজস্ব সুযোগ থাকায় কোচিং ও প্রাইভেট টিউশনি প্রবণতা হ্রাস পাবে;
# পাবলিক পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা সহজ হবে;
# জাতির মেধা বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।

সকলের সুবিবেচনা, আলোচনা, পর্যালোচনা ও অভিমত কাম্য।

নিবেদনে
ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান

১৬.০২.২০১৮

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)