চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সারাদেশে ৫২টি মামলা হয়েছে এবং তাতে ১৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনে (এফডিসি) সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।
শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় যারা বাধার সৃষ্টি করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করুন। ইতিমধ্যে ৫২টি মামলা করে ১৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও সমস্যার মূলে যেতে পারেনি। কাজটি করতে হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সব মিলিয়ে চেষ্টা চলছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিভিন্ন প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রতিদিনই নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তারপরও কোনো না কোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন বেরিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন পর এইচএসসি পরীক্ষা। এই অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনে যাব না। তবে নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যা আগে নেওয়া হয়নি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এইচএসসিতে নতুন যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেগুলো কার্যকরী হবে। তবে পরে অন্যান্য পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে।
দেড় লাখ মানুষ প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন- মন্ত্রী, সচিব বা বোর্ড চেয়ারম্যানের প্রশ্ন দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু ওই দেড় লাখ মানুষের প্রশ্ন দেখার সুযোগ আছে। তাদের একজনও যদি তার মূল্যবোধ 'বিক্রি করে দেন' তাহলেই বিরাট সর্বনাশ হয়ে যায়। প্রযুক্তি বিরাট সম্পদ এবং বাধ্যতামূলকভাবে তা ছেলেমেয়েদের শেখাতে হচ্ছে। সেই প্রযুক্তি যেমন সুবিধা দিচ্ছে তেমনি অসুবিধার সৃষ্টি করছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে যা নয়; তার চেয়ে বেশি প্রচার হয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, সব ব্যবস্থা গ্রহণ ও কোনো রকমের ত্রুটিবিচ্যুতি না হলেও প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের আক্রমণ করে চলেছেন। যারা সমালোচনা করছেন, দোষারোপ করা ছাড়া তাদের একজনের কাছ থেকে একটি পরামর্শও পাননি বলে জানান তিনি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের পরিচালনায় সুবিধাবঞ্চিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নবম জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা 'বিতর্ক বিকাশ'-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ হয় এফডিসিতে।
ব্র্যাক, এটিএন বাংলা এবং ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বরিশালের বাবুগঞ্জের রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ইসহাকপুর পাবলিক হাইস্কুল রানারআপ হয়। এবার সারাদেশের ৮৮০টি স্কুলের ১৭ হাজার ৬০০ বিতার্কিক বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম ও এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজীশ আলী খান বক্তব্য রাখেন।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com