প্রশ্নপত্র ফাঁস- এসএসসির ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে যদি আসল প্রশ্নপত্র মিলে যায় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ৩ টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। যার মধ্যে এমন প্রশ্নও রয়েছে যা আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গোয়েন্দা পুলিশকে ফেসবুকের লিংক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
এদিকে শনিবার শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের বহুনির্বাচনি ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই ফেসবুকে এসেছে। পরীক্ষা শেষে দেখা যায় ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস যদি পরেও প্রমাণ হয়, তাহলেও পরীক্ষা বাতিল করে দেবো। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষা আমরা গ্রহণ করবো না।’
ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বাংলা প্রথম পত্রের ‘খ’ সেটের প্রশ্নটি ফেসবুকে পাওয়া যায় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। প্রশ্নটি এরপর থেকে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ছড়াতে থাকে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে ছড়ানো প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল নেই। আমি মিলিয়ে দেখেছি। বিষয়টি মিথ্যা ও গুজব।
তবে যে ব্যক্তি এই প্রশ্নটি পোস্ট করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে পরীক্ষা শেষে রাজধানীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।