প্রশাসনিক গণতন্ত্রদ্বারা ভোট বিহীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে – সরোয়ার

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago
????????????????????????????????????

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপি সভাপতি এ্যাড, মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, আজ প্রশাসনিক গণতন্ত্রদ্বারা ভোট বিহীন সরকার দেশ পরিচালনা করার মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদ দখল করে লুঠপাঠের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। সেই স্বাধীনদেশের মানুষের নেই মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার। যেদেশে গণতন্ত্র নেই সেদেশের মানুষের শান্তি আসতে পারে না।সরকার নিজে বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে আকড়ে আছে সেকথা বলছে না। শুধু জিয়াউর রহমান পোষাক পড়ে এসেছে এটাই তার দোষ। জিয়াউর রহমান ক্ষমাতায় এসে একদলীয় বাকশাল উঠিয়ে দিয়ে এদেশের সকলকে রাজনীতি আধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বহুদলীয় সরকার গঠন করেছিল।

 

 

সরোয়ার আরো বলেন বর্তমান সরকারের কুটনৈতিক ব্যর্থতার কারনে দেশ আজ পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে এই দুঃসময়ে তাদের দলীয় নেতারা স্বাস্থ্য খাতকে দূর্নীতির মাধ্যমে দেশ ধ্বংশ করে দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১লা) সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল (বিএনপি) ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বরিশাল মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যতে তিনি একথা বলেন।

 

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল মহানগর বিএনপি (ভারপ্রাপ্ত) সাধারন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন ফারুক,রফিকুল ইসলাম রুনু সরদার, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সদস্য এ্যাড,আলি হায়দার বাবুল, মহানগর বিএনপি সহ-সাধারন সম্পাদক আনায়ারুল হক তারিন, মুক্তিযুদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ,মহানগর যুবদল সভাপতি আখতারুজ্জামান শামীম, সাধারন সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন, মহানগর শ্রমীকদল সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ খাঁন, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল করিম রনি,মহিলাদল নেত্রী ফাতেমা-তুজ জোহরা প্রমুখ।

 

 

এর পূর্বে প্রেস ক্লাব চত্বরে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ও মহানগর যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল সহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত হয়। পরে একই স্থানে বিএনপি চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মঙ্গল কামনা করে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে জেলা বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যলয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করে।

 

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সম্পাদক এ্যাড,আবুল কালাম শাহিন, কোতয়ালী বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন লাবু, আরহাজ নুরুল আমিন, জেলা যুবদল সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিকুল ইসলাম জনি সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

জাতীয়দূর্ঘটনাপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago