প্রযোজকের গোমর ফাঁস করেছি বলেই ‘হোটেল কাণ্ড’ : জায়েদ খান

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের  জায়েদ খানকে নিয়ে সিনেমার কাজ শুরু করেন পরিচালক তাজু কামরুল। সিনেমাটি প্রযোজনা করেন মনিরুল ইসলাম মনির। সিনেমাটির শুটিং শুরুর কিছুদিন পেরুতেই শুরু হয় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। নৃত্য পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন সায়ন্তিকা। এবার জায়েদ খান ও সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর প্রযোজকের। প্রশ্ন ছুড়ে দেন হোটেলে জায়দে-সায়ন্তিকা কি করছিলেন?

 

এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন জায়েদ খান।  যদিও তিনি আগেই গণমাধ্যমে প্রযোজকের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। এবার তিনি সরাসরি দিলেন প্রযোজকের প্রশ্নের জবাব। জায়েদ খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘প্রযোজকের গোমর ফাঁস করে দিয়েছি বলেই ‘হোটেল কাণ্ড’ তৈরি করেছেন। শুধু আমরা নয় পুরো শুটিং ইউনিট কক্সবাজার ছিল। পরিচালকও ছিলেন কক্সবাজারে। পরদিন পরিচালক আমাদের সঙ্গে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আসছিলেন। এমনকি পরের দিনও শুটিং হয়েছে। প্রযোজকের ছেলে গানের শুটিং করেন।’’

এই চিত্রনায়ক আরো বলেন, ‘পরিচালক সায়ন্তিকাকে এয়ারপোর্টে এগিয়ে দিয়েছেন। এরপরই প্রযোজক খোঁচাখুঁচি শুরু করেন। মিডিয়ায় দেখলাম- নৃত্য পরিচাক হাত ধরার কারণে সায়ন্তিকা চলে গেছেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। সায়ন্তিকা আমার ভালো বন্ধু। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সায়ন্তিকা আমাকে ফোন করে বলেছে-মাইকেল হাত ধরার কারণে আমি চলে আসছি এটা সঠিক না। আমি এমনটা বলিনি।’

 

সিনেমার স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, আমরা অনেক কিছুই সিনেমার স্বার্থে এড়িয়ে গিয়েছি। আমরা চেয়েছি সিনেমাটি ভালোভাবে শেষ হোক। কিন্তু প্রযোজক হয়তো যে কোন কারণে তা চাননি। এই প্রযোজক কিন্তু আগে কয়েকটা প্রজেক্ট দুদিন-তিনদিন শুটিং করে বন্ধ করে দিয়েছেন। টেলিফিল্ম শুটিং শুরু করেছিলেন সেটা বন্ধ, ওয়েব সিরিজ শুরু করেছিলেন সেটাও বন্ধ, সিনেমাও শুরু করেছিলেন সেটাও বন্ধ।’

প্রযোজকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে অর্ধেক গানের শুটিং করে সেট থেকে চলে আসেন নৃত্য পরিচালক সাইফ খান কালু। উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, ‘এর আগে নৃত্য পরিচাক সাইফ খান কালু অর্ধেক গানের কাজ শেষ করে চলে গিয়েছেন এই প্রযোজকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সমস্যার কারণে। অপেশাদার প্রযোজক হলে যা হয়। সায়ন্তিকা বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন- আমার মূল সমস্যা প্রযোজকের সঙ্গে।’

 

‘শুটিংয়ের প্রথম দিনেই প্রযোজকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার কারণে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। সায়ন্তিকা সিনেমাটি করবেন না। আমি গিয়ে বুঝিয়ে তাকে রাজি করালাম কাজটি করতে। এভাবে আমরা সাতদিন শুটিং করেছি। কলকাতায় গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে প্রযোজককে এসএসএম দিয়েছেন সায়ন্তিকা। প্রযোজক কোন উত্তর দিচ্ছে না। যে কারণে সায়ন্তিকা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।’ যোগ করেন জায়েদ খান।

এদিকে শুটিং শেষ হওয়ার পরও সায়ন্তিকা ও জায়েদ খানের হোটেলে থাকার বিষয়টি খোলাসা করেছেন ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার পরিচালক তাজু কামরুল। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘জায়েদ খান-সায়ন্তিকা চলে আসার পরও আমরা শুটিং করি। মূলত আমরা কিছু লোক ঢাকা পাঠিয়ে ইউনিট ছোট করেছি। শুটিং ইউনিট কক্সবাজার ছিল। জায়েদ খান-সায়ন্তিকাকে একদিন থাকতে হয়েছে এর কারণ ফ্লাইট ছিল না। যে কারণে বাধ্য হয়েই একদিন তাদের থাকতে হয়েছে।
চলমান সমস্যার সমাধান খুব শিগগিরই শেষ হবে বলেও জানান এই নির্মাতা।