প্রভিডেন্ট ফান্ড জটিলতা দূর করতে নতুন নীতিমালা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ভগ্নাংশের কারণে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর করতে নীতিমালা পরিবর্তন করেছে সরকার। পরিবর্তিত নীতিমালায় এখন থেকে ফান্ডে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কর্তন করা যাবে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি হয়েছে।

সূত্র জানায়, সিপিএফের বিদ্যমান নীতিমালায় মাসিক কর্তনের পরিমাণ ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ কম হবে না বলে উল্লেখ ছিল। কিন্তু এই হিসাব সবক্ষেত্রে অভিন্নভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে না। তা ছাড়া ভগ্নাংশের কারণেও নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণে নীতিমালায় এই পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ওই পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের পেনশন স্কিমের আওতাবহির্ভূত রাষ্ট্রায়ত্ত/স্ব-শাসিত/বিধিবদ্ধ সংস্থা এবং অধীনস্ত অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য দি কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড রুলস-১৯৭৯ এর রুল ৮-এর ১ (বি) এবং রুল ১১ (২) এর বিধান অভিন্নভাবে প্রতিপালন হচ্ছে না। এই নীতি অভিন্নভাবে প্রতিপালনের দুটি নির্দেশনা জারি করা হলো।

এর একটি নির্দেশনায় পরিপত্রে বলা হয়েছে, রুল-৮ এর ১(বি) অনুযায়ী বর্ণিত তহবিলে মাসিক কর্তনের পরিমাণ চাঁদা দাতার মূল বেতনের ৮ দশমিক ১৩ শতাংশের কম হবে না। এখন ভগ্নাংশ পরিহার করে মাসিক কর্তনের পরিমাণ চাঁদাদাতার মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।

পরিপত্রের দ্বিতীয় নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, মাসিক কর্তনের পরিমাণ সর্ব্বোচ্চ ১০ শতাংশ হলেও রুল ১১ (২) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কন্টিবিউশন চাঁদাদাতার মূল বেতনের ৮ দশমিক ১৩ শতাংশের সমান হবে।

উল্লেখ্য, পেনশন স্কিমের আওতাবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানে এই কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রথা চালু রয়েছে। এই ফান্ডে বেতনভুক্ত চাকরিজীবীদের বেতন থেকে যদি ১০ শতাংশ বেতন কাটা হয়, তবে সেক্ষেত্রে নিয়োগদাতা নিজে সেই চাকরিজীবীর জন্য আরও ১০ ভাগ অর্থ প্রদান করবেন। সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবী অবসরে যাওয়ার পর এই অর্থ তাকে প্রদান করা হবে।