প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করলেন পুলিশের এএসআই

লেখক:
প্রকাশ: ৮ years ago

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিনহাজ উদ্দিন মিন্টুর বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার টেপিকুশারিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী। পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার টেপিকুশারিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন গত ৯ বছর পূর্বে চাকরির উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যান। এ সুযোগ নিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে ও সিলেটে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু গত তিন বছর যাবৎ জয়নাল আবেদীনের স্ত্রীকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। তার কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় গত ২৭ জুন রাতে ঘরে ঢুকে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু।

এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যা করাসহ ধর্ষণের সময় ধারণকৃত ভিডিও চিত্র তিনি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন। তার ব্ল্যাকমেইলে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন প্রবাসীর স্ত্রী। এরই মধ্যে স্বামী জয়নাল আবেদীন দেশে ফিরে আসেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান।

পরে প্রবাসীর স্ত্রী ঘটনাটি পরিবারকে খুলে বলেন ও গতকাল বৃহস্পতিবার নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে যান। তবে এ ঘটনায় পুলিশের কর্মকর্তা জড়িত থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী জয়নাল আবেদীন এবং তার বড় ভাই জসিম উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু দাবি করেন, ঘটনাটি সাজানো। এটি একটি ষড়যন্ত্র। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই ওই নারী এমন অভিযোগ তুলেছেন।

এ প্রসঙ্গে ঘাটাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, এটি একটি পরকীয়া প্রেমঘটিত বিষয়। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ক্যাম্পাসজাতীয়প্রচ্ছদপ্রশাসন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
লাইফ সাপোর্টে থাকা অভিনেতা ও নির্মাতা হুমায়ূন সাধু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে ফারুকী বলেন, রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ূন সাধু। সেখানেই তার মৃত্যু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন সাধুর প্রথম ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন তাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এরপর তাকে বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচারেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০ অক্টোবর হঠাৎ সাধুর দ্বিতীয় ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পথ চলা শুরু হুমায়ূন সাধুর। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটকও নির্মাণ করেছেন তিনি।
৬ years ago