দেশের সব জেলায় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ কাজ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব দেয়ার সময় জ্যেষ্ঠতা নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণের সুপারিশ করে তারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, কমিটির এ সুপারিশের পর মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় এ পদের নিয়োগ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন থেকে করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় (বিপিএসসি) থেকে ৩৪তম বিসিএস হতে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৮৯৮ জনকে সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন ও পুলিশ প্রত্যয়ন প্রতিবেদন ভিত্তিতে ৫২১ জনকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে পদায়ন করা হয়েছে। বাকি ৩৭৭ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন ও পুলিশ প্রত্যয়ন প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তা পাওয়ামাত্র নিয়োগ করা হবে।
এছাড়া ৩৬তম বিসিএস হতে প্রধান শিক্ষকের সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৪ হাজার ৩২০টি শূন্য পদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদার বিপরীতে ২০ জুলাই ৩০২ পদে পিএসপি সুপারিশ করে। এসব পদে দ্রুত নিয়োগ কাজ শুরু হবে।
বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন বলেন, নতুন জাতীয়করণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকরা জ্যেষ্ঠতার লাভের আশায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজসশে জাতীয়করণের আগে চাকরিতে যোগদানের তারিখ পরিবর্তন করেছেন বলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব দেয়ার সময় জ্যেষ্ঠতা নীতিমালা কাঠোরভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সামশুল হক চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং উম্মে রাজিয়া কাজলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।