প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ‘কতদিনের মধ্যে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানে এমন কিছু লেখা নেই। এখন রাষ্ট্রপতি সময় অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। কিন্তু কত দিনের মধ্যে তাকে নিয়োগ দিতে হবে, এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি যখন মনে করবেন, তখন নিয়োগ দেবেন। আর কত দিনের মধ্যে নিয়োগ করবেন সেটা আমি বলতে পারব না। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির নিয়োগ সংবিধান অনুযায়ী সম্পূর্ণ এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। গতকাল বুধবার বারিধারায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রত্যয় মেডিক্যাল ক্লিনিক লিমিটেড আয়োজিত মাদক প্রতিরোধ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপতি এসকে সিনহা। মঙ্গলবার ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগের পর প্রায় এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনো দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। গত ৩ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ছুটিতে যাওয়ার পর থেকে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। জনমনে ধারণা ছিলো প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের পর দ্রুতই ওই পদ পূরণ করা হবে। কিন্তু এখনো কাউকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেননি রাষ্ট্রপতি।
গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি নেই; এটা কোনো সংকট কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি কোনো সমস্যা না। প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে বা পদত্যাগ করলে কী হবে বা কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা সংবিধানে বলা আছে। এ কারণে যখন সাবেক প্রধান বিচারপতি ছুটিতে গেলেন, তখন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে রাষ্ট্রপতি দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি করেন। তিনি এই ক্ষমতা পালন করবেন রাষ্ট্রপতি যতক্ষণ আরেকজনকে নিয়োগ না দিচ্ছেন। আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব। তবে আমি মনে করি, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পরপরই আপিল বিভাগে বিচারপতির যে স্বল্পতা রয়েছে তা পূরণ করা হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, শুধু আইন দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এজন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
প্রত্যয় মেডিক্যাল ক্লিনিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চিফ কন্সালট্যান্ট সৈয়দ ইমামুল হোসেন বক্তৃতা করেন।