প্রধানমন্ত্রী রোববার মহিউদ্দিনের বাসায় যাচ্ছেন

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্বজনদের সমবেদনা জানাতে রোববার চট্টগ্রামে তার বাসায় যাচ্ছেন।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দিনের ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এখনও সিডিউল পাইনি। সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে কখন আসবেন সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

নৌবাহিনীর বার্ষিক রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে রোববার সকালে চট্টগ্রামে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বিকাল ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন চৌধুরীর নগরীর চশমা হিলের বাড়িতে যেতে পারেন।আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী গত ১৫ ডিসেম্বর মারা যান।গত ১১ নভেম্বর রাতে তিনি হার্টের সমস্যা ও কিডনিজনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ নগরীর ম্যাক্স হাসাপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারে করে এনে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।গত ১৬ নভেম্বর অসুস্থ মহিউদ্দিনকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম সম্পন্নের পর তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

প্রায় ১০ দিন পর গত ২৬ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরে পুনরায় স্কয়ার হাসাপাতালে ভর্তি হন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম হোসেন আহমেদ চৌধুরী ও মা বেদুরা বেগম।ছাত্র জীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য; মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, যুদ্ধের পর জড়িয়ে পড়েন শ্রমিক লীগের রাজনীতিতে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর প্রতিশোধ নিতে পালিয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ১৯৭৮ সালে দেশে ফেরেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মহিউদ্দিন চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন। চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।৭৪ বছরের জীবনে মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন ১৬ বছর। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।