প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পেলে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপান জারি করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার দুুপরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান।
মোজাম্মেল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। তার নির্দেশনা পেলেই প্রজ্ঞাপর জারি করা হবে।তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। যথাসময়েই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে কোটা সংস্কার নিয়ে গেজেট প্রকাশ ও মামলা প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসা পরিষদটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের ছাত্র সমাজের দাবি মেনে নিয়েছেন, এজন্য আমরা তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, আমরা তার ঘোষণা মেনে নিয়েছি এবং গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করলাম। এ সময় মামুন আন্দোলনে সমর্থনের জন্য শিক্ষক, সাংবাদিক ও বুুদ্ধিজীবিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। এ পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করা শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরাদের দাবি, ১০ শতাংশের বেশি কোটায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ নিয়ে টানা আন্দোলন চললেও ৮ এপ্রিল তা সহিংস রূপ নেয়। এদিন শাহবাগ মোড় চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট-কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে সরিয়ে দেয়।
এরপর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা হল থেকে বেরিয়ে এসে টিএসসিতে অবস্থান নেন। টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাতভর পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এসব সংঘর্ষ ও ভিসির বাসভবনে তাণ্ডবের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে।