প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই সেটা করা হবে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের কার্যক্রম শুরুর আগে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী যেভাবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে, এটা এখন কোনো দেশের বিষয় নয়। বিশ্বের প্রায় ১২৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এটা। আমরা একদিকে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছি অন্যদিকে করোনাভাইরাসে করণীয় সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়টি দেখছি। আমাদের এখানে করোনার বিষয়টি সংক্রমিত আকারে হয়নি। ইতালি থেকে দুজনের আগমনে তাদের ভেতরে করোনা সংক্রমণের খোঁজে পাওয়া যায়, তাদের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে দুজন ভালো হয়ে গেছেন। সরকারি-বেসরকারিভাবে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নজরদারি চলছে।
শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধের একটা দাবি এসেছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো হচ্ছে না বলে অনেকে বলছে। এখানে সরকার কিন্তু গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে চিন্তাভাবনা নেই, এমন কিছু নয়। কারণ এখানে প্যানিকি করে কোনো লাভ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিষয়টা সে পর্যায়ে আসেনি, নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার খবর পাইনি। আমাদের এখানে বিষয়টি যদি খারাপভাবে মোড় নেয় বা স্কুল কলেজ বন্ধ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা করা হবে। আস্থা রাখুন সরকারের ওপর, আস্থা রাখুন প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তিনি যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার সাড়া দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রস্তাব এসেছে নরেন্দ মোদির ওখান থেকে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে এ ব্যাপারে। আমাদের এ ব্যাপারে যৌথ উদ্যোগ নিতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা যতটুকু জানি পাকিস্তান এ ব্যাপারে সাড়া দেয়নি, সে কারণে এখনও বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে, বাস্তবায়ন পর্যায়ে যায়নি। যখনই যাবে তখনই সার্ক দেশগুলো এ ধরনের উদ্যোগে আমরা থাকব, এ ধরনের উদ্যোগ আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সায় দিয়েছি, সম্মত হয়েছি।
করোনাভাইরাসের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার বিষয়টি সতর্কতা এবং প্রস্তুতিতে সামান্যতম ঘাটতি নেই। এখন বিএনপি অভিযোগ করছে, সব কিছুতেই বিএনপি নন্দঘোষ সরকারকে দেখছে। সবকিছুতেই তারা রাজনৈতিক ইস্যু খোঁজার পাঁয়তারা করছে। এটাই এখন তাদের রাজনীতি। সব দোষ নন্দঘোষ, সরকারের ওপর চাপানো। সরকার সরকারের দায়িত্ব যথাযথ পালন করে যাচ্ছে, আমরা বিএনপিকে অনুরোধ করব সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানোর আগে নিজেরা নিজেদের ঘর সামলান। আপন ঘরেই আপনাদের অসুবিধা, সমস্যা। করোনার মতো ভাইরাস আপনাদের ঘরে রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেদের ঘরের করোনা আগে প্রতিরোধ করুন এরপর সরকারের ওপর দোষ চাপাতে পারবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়া চৌধুরী, দীপু মনি, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
পরে আওয়ামী লীগের নেতারা গুলিস্তান এলাকায় করোনাভাইরাস সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করেন।