প্রধানমন্ত্রীকে লিখে চিঠির উত্তর পেয়েছে সোনারগাঁয়ের স্কুলছাত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে তার জবাব পেয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দ রওনক জাহান সেঁজুতি।

চিঠির জবাবের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সেঁজুতিকে তার একটি ছবিও পাঠিয়েছেন। এতে বেশ উচ্ছ্বসিত স্থানীয় প্রমিজ চাইল্ড কিন্ডারগার্টেনের এই শিক্ষার্থী।

ফিরতি চিঠিতে সেঁজুতিকে বড় হয়ে দেশসেবার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবীর প্রধানমন্ত্রীর ওই চিঠির জবাব দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্কুলছাত্রীর চিঠি পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাকে চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন।

রোববার সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া এইচজিজিএস স্মৃতি বিদ্যায়তনে ডাক পিয়নের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি গ্রহণ করেন সেঁজুতির বাবা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম।  তিনি এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

সেঁজুতিরা দুই ভাই এক বোন। তার দাদু জুলেখা খাতুন ২০১৬ সালের ২রা ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। সেঁজুতি তার দাদুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল গত ২৫ মার্চ।  সেঁজুতির গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা।

সেঁজুতি চিঠিতে লিখেছিল, তার দাদুকে হারিয়ে সে ভালো নেই।  প্রধানমন্ত্রীর মুখ তার দাদুর মতো। তাই প্রধানমন্ত্রীকে সেঁজুতি অনেক ভালোবাসে। টিভিতে প্রধানমন্ত্রীকে দেখে তার দাদুর কথা মনে পড়ে। চিঠির শেষে প্রধানমন্ত্রীকে তাদের বাসায় দাওয়াত করে সে।

প্রধানমন্ত্রী সেঁজুতির চিঠির জবাবে লিখেছেন, ‘প্রিয় সেঁজুতি, তোমার লেখা চিঠি পেয়েছি। আমার স্নেহ এবং শুভেচ্ছা গ্রহণ কর। আশা করি তুমি বাবা, মা এবং বন্ধুদের নিয়ে খুব ভালো আছে। তোমার চিঠিটিক আমি কয়েকবার পড়েছি। তোমার দাদুর জন্য দোয়া করেছি। তোমার দাদুকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বেহেশত নসীব করুন।’

প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘তুমি মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে এবং নিয়মিত স্কুলে যাবে। বাবা-মার কথা শুনবে এবং বড় হয়ে দেশের সেবা করবে। তোমার জন্য আমার একটি ছবি পাঠালাম। অনেক অনেক দোয়া আর আদর রইল।’

সেঁজুতির বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, সেঁজুতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিটি গত ২৫ মার্চ লিখেছে। তারপর আমার কাছে চিঠি পোষ্ট করার জন্য দিয়েছে। সময় সুযোগ না পাওয়ায় ২৭ মার্চের পরে কোন একদিন মেয়ের চিঠিটি পোষ্ট করেছি।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন এবং সেটার জবাব আসবে এটা তিনি ভাবতে পারেননি। এখন তিনিও মেয়ের সঙ্গে অনেক খুশি।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি সম্পর্কে সেঁজুতি বলে, আমার দাদুর মতো দেখতে প্রধানমন্ত্রী। টিভিতে প্রধানমন্ত্রীকে দেখলে আমার দাদুর কথা মনে পড়ে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি। প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে আমি অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি তার ছবি উপহার দিয়েছেন।