প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন এনটিএমসি’র পরিচালক জিয়াউল আহসান

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বরিশালের কৃতী সন্তান র‌্যাব-এর সাবেক এডিজি, এনএসআই-এর সাবেক পরিচালক ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি)’র বর্তমান পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান। বুধবার গণভবনে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ অভিনন্দন জানান।

জিয়াউল আহসান বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বর্তমানে এনটিএমসি’র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সামরিক বিভাগে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও শীর্ষ পদে কাজ করার দক্ষতা। মূলত, দীর্ঘদিন পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবে দায়িত্ব পালন করেন জিয়াউল আহসান। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হিসেবে যোগ দেন তিনি। একই বছর ২৭ আগস্ট লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক হন। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি র‌্যাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকার সময় তাকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ডিডিজি হিসেবে বদলি করা হয়।

পরে তাকে সেখান থেকে এনএসআই’র পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় জেএমবি, হুজি, আনসারুল্লাহসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা, সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও মাদক সম্রাট আমিন হুদাসহ অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। এছাড়াও হেফাজত ইসলামের শাপলা চত্বর দখল করে রাজধানীতে তান্ডব চালালে প্রশাসনিক দক্ষতায় সরাসরি নিজে দায়িত্ব নিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের শাপলা চত্বর ছাড়তে বাধ্য করেন এই কর্মকর্তা। আর বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রের কল্যানে বৃহত্তর ভূমিকা রাখছেন। জিয়াউল আহসান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের বিএম কলেজ রোডস্থ বৈদ্যপাড়া তহুরা মঞ্জিলের বাসিন্দা।

তার পিতা সমাজসেবক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ। তার মাতা সাবেক প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান চতুর্থ। তার বড় ভাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা’র বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক। বড় বোন নাসরিন্নাহার প্রবাসী, মেজ বোন নাজমুন্নাহার মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, সেজো বোন নাজনিন্নাহার বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, চতুর্থ বোন পাখি। তিনি ভিকারুন্নেছসা স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজীর প্রভাষক এবং পঞ্চম বোন ড. সামসুন্নাহার অস্ট্রিলিয়া ইউনিভার্সিটির প্রভাষক। ছোট ভাই ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ্যাড. জিয়াউর রহমান বিপ্লব।