৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
রমজান শুরুর প্রথম দিন শুক্রবার অফিস আদালত বন্ধ ধাকায় একটু আগে-ভাগেই যেন পসরা সাজিয়ে বসেছেন ইফতার বিক্রেতারা।
আর তাই ক্রেতারাও যেন একটু আগে ভাগে পছন্দের ইফতার কিনতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন।
আবার অনেকে জুমার নামাজ শেষে একটু ঘোরাঘুরি করে ইফতার কিনে তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়ারও প্রস্তুতি নিয়েছেন।
কেতা-বিক্রেতাদের আলাপচারিতা, হাক-ডাকের মধ্য দিয়ে সব মিলিয়ে এবারের বরিশালের বিভিন্ন এলাকার ইফতার বাজার প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে।
রমজান শুরুর প্রথম দিনে বহু আইটেমের ইফতার সাজিয়ে বসেছিল ঐতিহ্যবাহী বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডের নাজেম’স রেস্তোরা।
বিভিন্ন আইটেমের ইফতার নিয়ে বসেছেন, নগরীর পুলিশ লাইন্সের ইউরো কিচেন, হান্ডি কড়াই রেষ্টুরেন্ট, রয়েল রেস্তরা, নিউ আকাশ রেস্তোরা, রোজ গার্ডেন, গার্ডেন ইন রেস্তোরা, রিভারক্যাফেসহ নামীদামি বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা। নগরীর বাজার রোড, সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে ইফতারের আইটেম নিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এসব স্থানে সাধারণ আলুরচপ, বেগুনি, পিঁয়াজু, সবজির চপ, চিকেন চপ, ডিমের চপ, চিকেন পুলি, ফিরনি, বোরহানী, চিকেন ফ্রাই, তেহেরি, বুন্দিয়া, ছোলাবুট, জিলাপী, মোরগ পোলাউ, কাচ্চি বিরিয়ানী, হালিম, শাহি জর্দ্দা, মুরগি মোসাল্লাম, খাসির রান, গরুর কালো ভূনা ও ঘোলসহ নানা ধরনের ইফতার আইটেমে ঠাসা ইফতার বাজার।
এছাড়া মৌসুমী তরমুজ, কলা, আনারস, লিচু, পেয়ারা ও পেঁপেসহ বিভিন্ন ফলফলাদির দোকানও বসেছিল নগরীর ফুটপাত জুড়ে।
বগুড়া রোডের নাজেম’স রেস্তোরা’র সত্ত্বাধিকারী আলহাজ মো. নাজেম আলীর ছেলে রেজা জানান, প্রতিবারের মতো এবারেও তারা ক্রেতাদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ভালোমানে ক্রয়-সাধ্যের মধ্যে মূল্য নির্ধারন করে ২০-৩০ প্রকারের ইফতারির খাবার তৈরি করেছেন। প্রকারভেদে আইটেম প্রতি মূল্য ৫ টাকা থেকে ৫ শত টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মাহিন খান জানান, ব্যস্ততা ও নানা ঝামেলার কারণে প্রতিবারই রোজায় ইফতারের কিছু আইটেম বাইরে থেকে কিনতে হয়। বিকেল ৪টা থেকে নামিদামি ও ছোটখাটো প্রায় বহু দোকান ঘুরে দেখেছেন তিনি। তবে নাজেম’স এর ইফতারী বেশি ভালো লাগে।
এবারে ইফতারের বাজারে আইটেম প্রতিবারের মতো একই থাকলেও এবারে প্রথম রোজা বন্ধের দিনে হওয়ায় একটু ক্রেতা সমাগম বেশি বলে জানান তিনি।
এদিকে, নগরীরর বিবির পুকুর পাড়ের ইফতার ব্যবসায়ী মনির জানান, তার ক্ষুদ্র এ দোকানে ইফতারের আইটেম ভেদে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় তাদের ব্যবসাও ভালো জমজমাট হবে বলে জানান তিনি।
