সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রায় দেড়শ প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটের মধ্যে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুল বিক্রির আদেশ এলেও ক্রয়াদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।
একদিকে ক্রয়াদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়া, অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল বিক্রির আদেশ আসায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে, তারা তা বিক্রি করতে পারছেন না।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে দশমিক ২২ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেনে হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের ১৬ মিনিটের মাথায় ডিএসই’র প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপরেই বাজার পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফলে মূল্যসূচকও নিচের দিকে নামতে দেখা যাচ্ছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ১০ মিনিটে ডিএসইতে ৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৪টির। আর ১০৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরমধ্যে ক্রয়াদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে ১২৭ প্রতিষ্ঠানের।
এতে ডিএসই’র প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে দশমিক ১৩ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।