পানিসম্পদমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো বর্তমান সরকার ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ গ্রহণ করেছে। এটি গৃহীত হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ২৭৯ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন লাভের পর এই বছরের ২৬ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে এর কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৪৪৮টি ছোট নদী ও খালের ৪ হাজার ৮৬ কিলোমিটার পুনঃখনন সম্পন্ন হবে।
রোববার টেবিলে উত্থাপিত মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। স্পিকারের সভাপতিত্বে সকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।
সংরক্ষিত মহিলা এমপি বেগম গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদমন্ত্রী আরো জানান, সুন্দরবনকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় কোনো প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আপাতত নেই।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবন বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা ও ইউনেসকো ঘোষিত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ সাইট’ বিধায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এককভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তবে, সুন্দরবন সংলগ্ন নদী-খাল পুনঃখননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাগেরহাট জেলার ৮৩টি নদী-খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি; খুলনা জেলার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ভদ্রা ও সালতা নদী পুনঃখনন প্রকল্প; খুলনা জেলার ভুতিয়ার বিল এবং বর্ণাল-সলিমপুর কোলাবাসুখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন প্রকল্প ও ৬৪ জেলার অভ্যান্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার নদী-খাল পুনঃখনন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।