প্রথমবারের মতো লাইভ আড্ডায় আইয়ুব বাচ্চু’র কন্যা সাফরা

:
: ৩ years ago

অনলাইনে ভার্চুয়াল আড্ডার বিশেষ আয়োজন ‘জীবন যেখানে যেমন’ অনুষ্ঠানে গত দেড় বছরে একাধিক তারকারা কথা বলেছেন বিভিন্ন প্রসঙ্গে। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানের ৭৮তম এপিসোডে প্রথমবারের মতো রকস্টার বাবাকে নিয়ে কোনো লাইভে অংশ নেবেন আইয়ুব বাচ্চু কন্যা ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব।

এদেশের রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু মারা যাওয়ার পর এরই ভেতরে তার গান সংরক্ষণের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর ডিজিটাল মিউজিয়াম। তার স্মরণে নিজ জেলা চট্টগ্রামের সবচেয়ে ব্যস্ততম চত্ত্বরে গড়ে উঠেছে গিটার ভাস্কর্য।

অভাবনীয় জনপ্রিয়তার এই কিংবদন্তীকে নিয়ে সারাদেশের অগণিত ভক্তদের কৌতুহল, ভালোবাসা, উন্মাদনা একইভাবে বর্তমান। এলআরবি, আইয়ুব বাচ্চুর রেকর্ডসংখ্যক জনপ্রিয় গান, এবি কিচেন, আইয়ুব বাচ্চুর গিটার, স্টুডিওসহ যাবতীয় অমূল্য রসদ নিয়ে পরিবারের সিদ্ধান্ত, বাবার স্মৃতি এবং আগামী সিদ্ধান্ত, এ সকল বিষয়ই মূলত সরাসরি আলোচনায় খোলাসা করবেন আইয়ুব বাচ্চু কন্যা সাফরা।

 

প্রথমবারের মতো কোনো লাইভে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে সাফরা বলেন, ‘আমি, আমার পরিবার কোনোদিনই গণমাধ্যমের সামনে আসিনি। আমার বাবা সারাবিশ্বের লক্ষ কোটি শ্রোতার মনের ভেতরে বাস করেন। তাদের কৌতুহলকে শ্রদ্ধা জানাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় স্পষ্ট করাটা জরুরি বলে মনে করি। আর তানভীর তারেক বাবার খুবই কাছের একজন ছিলেন। বাবার স্টুডিও, গান এসবের বাইরেও কিছু মানুষ ছিলেন বাবার ভীষণ আপন। তাদের ভেতরে তানভীর চাচ্চু অন্যতম। তাই তিনি যখন বললেন যে, তার উপস্থাপনায় কিছু কথা বলার জন্য। রাজি হলাম। আমি, আমার পরিবার শোবিজ জগতের কেউ নই। কিন্তু আমার বাবার স্বত্তা বাংলা গানে এমনভাবে মিশে আছে, তাতে মেয়ে হিসেবে কিছু দায়িত্ব তো বর্তাবেই। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় সরাসরি তানভীর তারেকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরাসরি এই কথপোকথনটি দেখা যাবে।

এই আয়োজন প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক তানভীর তারেক বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে এসেছি আইয়ুব বাচ্চু ব্যক্তিজীবনে আমার এই শহরে অন্যতম আশ্রয়ের নাম। তিনি আমার এক অভিমানের নাম ছিলেন। ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার অমূল্য এক মানুষ ছিলেন। মৃত্যু অনিবার্য। এটা জেনেও কিছু কিছু মৃত্যুকে আমরা ভীষণ আফসোসের কাতারে রাখি, যে আরো কটা বছর এই কিংবদন্তী আমাদের সঙ্গে থাকলে বাংলা গান আরো সমৃদ্ধ হতো। আধুনিক বাংলা গানের একটা গোটা অধ্যায় রচিত করে গেছেন এই মানুষটি। শুধু তাই নয়, সেটিকে সার্বজনীনভাবে জনপ্রিয় করে গেছেন একজন আইয়ুব বাচ্চু। সারাদেশে চষে বেড়িয়েছেন গিটার নিয়ে। সেই মানুষটিকে স্মরণে রেখে তার পরিবারের কিছু কথা আমার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার লক্ষ কোটি ভক্তরা জানুক। এটা একজন এবি শিষ্য হিসেবে আমার দায়িত্বের ভেতরেও পড়ে। আশা করছি গান পাগল এবি ভক্তদের জন্য আয়োজনটি বিশেষ হবে। সকলকে অনুষ্ঠানটি দেখার আমন্ত্রণ রইল।’