প্রত্যাবাসন ব্যাহত করার চক্রান্তে রোহিঙ্গারা!

:
: ৭ years ago

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে প্রত্যাবাসন বা ফেরত নেওয়ার চুক্তি হওয়ায় অধিকাংশ রোহিঙ্গা সন্তুষ্ট হলেও একটি অংশ এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নানামুখী মোটিভেশন তৎপরতায় সক্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে টেকনাফের বিভিন্ন মসজিদ-নুরানি মাদ্রাসা ও মক্তবের ইমাম এবং শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রোহিঙ্গারা এই তৎপরতা চালাচ্ছেন।

এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর না করার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় অধিবাসী, প্রশাসনিক সূত্র ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, টেকনাফ ও উখিয়ার পুরনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে ৩ শতাধিক মসজিদ, নুরানি মাদ্রাসা ও মক্তব গড়ে উঠেছে। নতুন রোহিঙ্গা আসার পর এরই মধ্যে আরও দেড় শতাধিক এ ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখানে ইমাম ও শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন রোহিঙ্গাদেরই শিক্ষিত অংশের প্রতিনিধিরা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার আগে থেকেই এদের অনেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে আসছেন। সুযোগ পেলেই তারা মিয়ানমারের সাধারণ নারী-পুরুষদের ওপারে আর ফিরে না যেতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

‘মিয়ানমারে ফিরে গেলে পুনরায় তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হবে’— এমন কথা বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার চুক্তি হলেও আতঙ্কবোধ তৈরি হচ্ছে। আবার ১৯৭৮ সালের পর থেকে কয়েক ধাপে আসা পুরনো রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখানকার বর্তমান পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন।ফলে তারাও নতুন করে আসাদের আর মিয়ানমারে ফিরে না যেতে বলছেন।

এ প্রসঙ্গে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা যে বন্দীদশায় ছিলেন, সেখানকার তুলনায় তারা এখানে অনেক গুণে ভালো অবস্থায় রয়েছেন। কষ্ট করে তাঁবুতে থাকতে হচ্ছে— এটাই একটা সমস্যা। কিন্তু তারা এখানে যে আধুনিক জীবনব্যবস্থার স্বাদ পেতে শুরু করেছেন, তাতে ফেরত না যেতে কেউ কেউ তাদের প্ররোচিত করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক দিক থেকে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ’ টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত রয়েছে, এ রকম প্রমাণ ফেলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। চুক্তিবিরোধী যে কোনো তৎপরতাই হবে গর্হিত কাজ। ’